নীলফামারী প্রতিনিধিঃ বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছচাপানী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া। ,তিনি তার রাজনৈতিক জীবনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের যে কোন সিদ্ধান্ত রাজপথে পালনের লক্ষ্যে ঝাপিয়ে পড়েছেন তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে,তিনি স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে, হরতাল, মিছিল ও আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন রাজপথে সামনের সারিতে থেকে,দলের যে কোন নির্দেশনা কার্যকর করতে গিয়ে বারবার কারাবরন করেছেন,হারিয়েছেন অর্থ সম্পদ ও নিজের সম্মান,অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি ও তার পরিবার। ,বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে ঘরবাড়ি ছেড়ে থেকেছেন লুকিয়ে লুকিয়ে। লুকিয়ে থাকাকালীন সময়েও দলের সব ধরনের নির্দেশনা পালন করেছেন।,দলের প্রয়োজনে রাজপথে নেমেছেন,ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারবিরোধী যে কোন সভা-সমাবেশ,হরতাল,মিছিল,আন্দোলন এমনকি জাতীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছেন ঢাকা।আর এসব কর্যক্রম বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোসরদের কাছ থেকে লাঞ্চনা বঞ্চনার স্বীকার হয়েছেন,কারনে অকারনে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের আমলে ওদের দোসরেরা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ও দমিয়ে রাখতে পারে নাই।গত ০৫ তারিখ ছাত্রজনতার বিপ্লবে দেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হওয়ার পরে,তিনি তার ইউনিয়নের সকল নেতাকর্মীদের নিয়ে তার ইউনিয়নে কোন প্রকার অপ্রিতীকর ঘটনা যেনো না ঘটে সেজন্য সবসময় সতর্কতার সঙ্গে সবার জানমালের হেফাজতের জন্য সর্বাত্মক চেস্টা করেছেন।যার ফলশ্রুতিতে তার ইউনিয়নে কোন ধরনের অপ্রিতীকর ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে সাধারণ মানুষের ন্যায্য অধিকার,ভোটের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ও নীলফামারী জেলা, ডিমলা উপজেলার নেতৃত্ত্বে আমার জীবনকে বাজি রেখে বিগত দিনে দায়িত্ব পালন করেছি ভবিষ্যতেও করবো। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক হয়ে বাকি জীবন পার করে দিতে চাই জাতীয়তাবাদী দলের সাথে। আমি আমার নিজের চাইতেও বেশী ভালবাসি জাতীয়তাবাদী দলকে, ভালোবাসি শহীদ জিয়ার পরিবারকে, ভালোবাসি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে, আমার বাকী জীবন এই পরিবারের সঙ্গে জাতীয়তাবাদী শক্তির সঙ্গে এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেকে নিয়োগ করতে চাই। তিনি তার রাজনৈতিক জীবনে ছাত্রদল,যুবদল ও ০৮, নং ঝুনাগাছচাপানী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হিসেবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন।বর্তমান সাবেক। ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছচাপানী ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়ার সহ-সভাপতি জিল্লুর রহমান এর কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন সংগ্রাম করেছেন, যেকোন পরিস্থিতিতে দলের নির্দেশনা পালন করার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন রাজপথে,আমার দেখা চোখে তিনি প্রকৃত জিয়া পরিবারের আদর্শের সৈনিক।তারমতো ত্যাগী নেতার সান্নিধ্যে থাকতে পেরে আমরা অত্র ইউনিয়নের সাধারন মানুষ অত্যন্ত গর্বিত।আমার দেখা মতে তার বিগত রাজনৈতিক জীবনে কখনো কারো সাথে তিনি আপোশ করেননি ও জাতীয়তাবাদী দলের সাথে বেইমানী করার কোন ইতিহাস নেই।আমরা ৮নং ঝুনাগাছচাপানী ইউনিয়নবাসী আমাদের জেলা ও উপজেলা নেতাদের কাছে তার মতো ত্যাগী নেতার সঠিক মুল্যায়ন চাই।