মোঃ বেল্লাল হোসাইন নাঈম, স্টাফ রিপোর্টার
নোয়াখালীর চাটখিল পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ হানিফকে অব্যাহতি দেওয়ায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেলা বিএনপির বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠেছে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে নোয়াখালী জেলা বিএনপি চাটখিল পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়। কিন্তু মাত্র দুই দিন পর, ১০ সেপ্টেম্বর জেলা বিএনপির সদস্য (অতিরিক্ত দায়িত্ব দপ্তর) এডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ স্বাক্ষরিত চিঠিতে কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই মোঃ হানিফকে সরাসরি অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদী পোস্ট দেন। তারা বলেন, বি কে হানিফ দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন। হঠাৎ করে তাকে অব্যাহতি দেওয়া শুধু দলকেই দুর্বল করবে।
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আজম জগলু লিখেছেন, “প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই এ সিদ্ধান্তের। একজন রাজপথের পরীক্ষিত সৈনিককে প্রত্যাহারের আগে সুচিন্তা করা উচিত ছিল। এখন দেখা যাচ্ছে, প্রতিবাদী কণ্ঠগুলোকে বহিষ্কার করে বাক স্বাধীনতা রুদ্ধ করার চেষ্টা চলছে।”
মাহবুবুর রহমান রুবেল মন্তব্য করেছেন, “১৫-১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রামে যাঁর অবদান অপরিসীম, সেই বি কে হানিফকে বহিষ্কার করা ভুল সিদ্ধান্ত। ডাকসুর নির্বাচনের মতো এখান থেকেও শিক্ষা নেওয়া উচিত।”
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন শুভ লিখেছেন, “একজন বি কে হানিফ এমনি এমনি তৈরি হয়নি। তিনি গত ১৭ বছর রাজপথের লড়াকু যোদ্ধা। তাঁকে বহিষ্কার করা হলে নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপিকে বয়কট করবে।”
এছাড়া ছাত্রদল ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও একই সুরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা অবিলম্বে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
এখন দেখার বিষয়, জেলা বিএনপি কি এই তীব্র সমালোচনার মুখে তাদের সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন আনে, নাকি এই ইস্যু নিয়ে দলীয় অঙ্গনে আরও বিভক্তি সৃষ্টি হয়।