মনজু হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার :
শেরপুরের উত্তরা গ্রীণ টি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক পক্ষের দ্বন্দ্বে হয়রানির শিকার হয়েছেন একদল তরুণ উদ্যোক্তা। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চা কারখানায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তরুণ উদ্যোক্তা আরিফ হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে পরিচালকদের দ্বন্দ্বের কারণে কারখানাটি বন্ধ ছিল। একপক্ষে ছিলেন সাবেক শিক্ষা অফিসার বোরহান উদ্দিনের স্ত্রী আইরিন পারভীন, তাঁর সন্তান ও ভায়রা ভাই, আরেক পক্ষে ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক ও তারিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়। সে সময় এমডি ও সংখ্যাগরিষ্ঠ পরিচালকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আদালতের অনুমতি নিয়ে পাঁচজন তরুণ উদ্যোক্তা চুক্তির মাধ্যমে চা কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেন। এতে শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়।
কিন্তু এর অল্প কিছুদিন পরেই আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে চেয়ারম্যান আইরিন পারভীন, পরিচালক শাহ আলম মিঠু, সাবেক শিক্ষা অফিসার বোরহান উদ্দিন ও তাঁর ছোট ভাই রাকিব হোসেনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার মাধ্যমে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আরিফ হোসেন।
তিনি আরও বলেন, “পরিচালক পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণে যদি চা কারখানাটি আবার বন্ধ হয়ে যায়, তবে শতাধিক পরিবার কর্মসংস্থান হারাবে। একই সঙ্গে সরকারের রাজস্ব আয় কমে যাবে এবং চা চাষীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
আরিফ হোসেন মামলাটিকে ‘অহেতুক হয়রানি’ হিসেবে উল্লেখ করে এ থেকে মুক্তির দাবি জানান। তিনি বলেন, “আমরা কারখানার সাথে সম্পৃক্ত এবং চা শিল্পকে সচল রাখার চেষ্টা করছি। অথচ অযথা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”
সংবাদ সম্মেলনে নতুন উদ্যোক্তা রাকিব হোসেন, কারখানার কর্মী মকলেছার রহমান, মন্তাজ আলী, শ্রমিক ও স্থানীয় চা চাষীরা উপস্থিত ছিলেন।