(নীলফামারী) প্রতিনিধি:
ডিমলা উপজেলার গ্রামাঞ্চলেও কাঁচা মরিচের দামে আগুন লেগেছে। হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে, অল্প পরিমাণ কেনার ক্ষেত্রে ২৫০ গ্রামের জন্যও দিতে হচ্ছে অন্তত ১০০ টাকা।
পাঁচ দিন আগেও প্রতি কেজি মরিচের দাম ছিল ২০০-২২০ টাকা। অর্থাৎ মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১৮০-২০০ টাকা। কয়েক মাস আগেও মরিচের দাম ৩০০ টাকার মধ্যে ছিল, যা এখন ছাড়িয়েছে ৪০০ টাকার সীমা।
শনিবার (৪ অক্টোবর) উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে—বাবুরহাট, পশ্চিম ছাতনাইয়ের ডাঙ্গারহাট, পূর্ব ছাতনাইয়ের কলোনি হাট, খগাখরিবাড়ি ইউনিয়নের টুনিরহাট, গয়াবাড়ি ইউনিয়নের শুটিবাড়ি বাজার ও ঝুনাগাছ চাপানি—পরিদর্শন করা হয়। সব জায়গাতেই কাঁচা মরিচের কেজি ৩৮০-৪০০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না।
বিক্রেতাদের বক্তব্য:
সাম্প্রতিক ভারী বন্যা ও বৃষ্টিপাতের কারণে স্থানীয়ভাবে সবজি উৎপাদন কমেছে। এছাড়া পূজার ছুটির কারণে ভারত থেকে আমদানিও সীমিত হয়েছে। ফলে সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হয়ে বাজারে মরিচসহ অধিকাংশ সবজির দাম বেড়েছে।
শুধু মরিচ নয়, টমেটো, বেগুন, ফুলকপি, করলা, ঢ্যাঁড়স, বরবটি, পটোলসহ অন্যান্য সবজির দামও ২৫-৩৫ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে দাম অনুযায়ী:
টমেটো: ১১০-১২০ টাকা
বেগুন: ৬৫ টাকা
ফুলকপি: ১৮০ টাকা
অন্যান্য সবজি: ৫০-১০০ টাকার মধ্যে
স্থানীয়দের মতামত:
শুটিবাড়ি বাজারের সবজি বিক্রেতা নুর ইসলাম বলেন, “দেশীয় কাঁচা মরিচ বাজারে নেই বললেই চলে। যা বিক্রি হচ্ছে, তার বেশিরভাগই ভারত থেকে আসে। পূজার ছুটির কারণে আমদানিও কমেছে, তাই দাম এতটা বেড়েছে।”
ডালিয়া পাউবো কলোনির বাসিন্দা সাঈদ আহমেদ বলেন, “সবজির দামে কোনো লাগাম নেই। মাত্র তিন-চার পদের সবজি কিনলেই খরচ ৪০০ টাকার ওপরে চলে যাচ্ছে।”
প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া:
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরানুজ্জামান জানান,
“বাজারের পরিস্থিতি নজরদারির মধ্যে আছে। অযৌক্তিকভাবে কেউ দাম বাড়ালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্রেতাদের স্বার্থ রক্ষা ও বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিতভাবে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।”
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:
নিয়মিত বাজার তদারকি ও সরবরাহ ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারলে মূল্যবৃদ্ধির ধারা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।