শরিফা বেগম শিউলী | স্টাফ রিপোর্টার
রংপুরে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, “জুলাই আন্দোলনে যারা ছাত্র-জনতার পাশে ছিলেন আমরা তাদের অভিনন্দন জানাই। কিন্তু সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, বিজিবির যেসব সদস্য জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনার শাসনামলে গুম-খুন ও আয়নাঘরসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তৎকালীন সেনা কর্মকর্তাদের কঠোর সমালোচনা করে আখতার বলেন, “সেনাবাহিনীর কিছু জেনারেল হাসিনার আনুকূল্য পেতে গুম ও খুনের সাথে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তারা শুধু একটি পরিবার নয়, গোটা দেশের গণতন্ত্রকেই ধ্বংস করেছেন। সেনাবাহিনীর মর্যাদাও ক্ষুণ্ন করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “এই বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা গুম-খুন না হলে শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট হতে পারতেন না। তাই সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাকে জনগণের প্রকৃত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হলে তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”
আখতার হোসেন জানান, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এনসিপি এখনো কোনো দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেনি। তিনি বলেন, “জাতীয় স্বার্থে যদি জোট প্রয়োজন হয়, এনসিপি তাতে উন্মুক্ত। আমরা দল নয়, দেশের মানুষের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে রাজনীতি করি।”
তিনি আরও বলেন, “আসন্ন নির্বাচনের আগে বিচার ও প্রয়োজনে সংস্কার করতে হবে—এটাই জুলাই আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষা। ঐক্যমত কমিশনের উদ্যোগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠায় এনসিপি অংশ নেবে এবং স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেবে।”
এর আগে আখতার হোসেন ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর হয়ে রংপুরে পৌঁছান। পরে প্রয়াত রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকুর কবর জিয়ারত করে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে নেতাকর্মীদের সংবর্ধনা গ্রহণ ও মোটরসাইকেল শোডাউনে অংশ নেন।