মোঃ বেল্লাল হোসাইন নাঈম
স্টাফ রিপোর্টার
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে গণপূর্ত বিভাগের লিজকৃত সরকারি জমি ব্যক্তির নামে অবৈধভাবে রেকর্ড ও খতিয়ান করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, এক ব্যবসায়ী নিজের লিজের দোকানের পাশাপাশি অন্যের লিজকৃত দোকানভিটিও নিজের নামে খতিয়ান করার চেষ্টা করছেন।
বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের একটি কনভেনশন হলে ভুক্তভোগী আলা উদ্দিন ও তার ভাই এম কাউসার সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ উত্থাপন করেন।
এম কাউসার জানান,
“আমরা ১৯৯৯ সালে মাইজদী সোনালী ব্যাংক আঞ্চলিক কার্যালয়ের পাশে গণপূর্ত বিভাগ থেকে একটি দোকান ভিটি লিজ নিয়ে ‘মালিহা কম্পিউটার অ্যান্ড ফটোকপি’ নামে ব্যবসা চালিয়ে আসছি। আমরা নিয়মিত খাজনা দিয়ে আসলেও পাশের দোকান ‘ইউরো শপিং কমপ্লেক্স’-এর মালিক বাচ্চু মিয়া সরকারি কর্মকর্তাদের সহায়তায় আমাদের দোকানভিটিসহ সরকারি জায়গা নিজের নামে খতিয়ান করেছেন।”
তিনি আরও বলেন,
“বাচ্চু মিয়া শুধু তার নিজ লিজের দোকান নয়, আমাদের দোকানটিও নিজের নামে রেকর্ড করার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি আমরা গণপূর্ত ও ভূমি বিভাগে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানিয়েছি, কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে গণমাধ্যমের দ্বারস্থ হয়েছি।”
অভিযুক্ত ইউরো শপিং কমপ্লেক্সের মালিক বাচ্চু মিয়া বলেন,
“ওই জায়গা আমি সরকার থেকে স্থায়ী বন্দোবস্ত নিয়েছি। এ বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট রয়েছে, তাই সেখানে কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। এটি গণপূর্তের জায়গা নয়, বরং আমাদের মৌরসিপ্রাপ্ত সম্পত্তি।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন,
“আমি সদ্য জেলায় যোগদান করেছি। অভিযোগের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা জানান, জেলা শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত এ জমিটি বহু বছর ধরে গণপূর্ত বিভাগের লিজকৃত সরকারি সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সময় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি দপ্তরের ভেতরের অসাধু চক্রের সঙ্গে যোগসাজশ করে জমি দখল ও রেকর্ড পরিবর্তনের পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন।