মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর প্রতিনিধি:
সরকারি কৃষি প্রণোদনা তালিকায় নিজের পছন্দের ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত না করায় শেরপুরের নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার ওপর হামলা ও হেনস্তা করেছেন এক ছাত্রদল নেতা। বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেল সোয়া ২টার দিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার কৃষি কর্মকর্তা শাহারিয়ার মুরসালিন মেহেদী।
অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা রাহাত হাসান কাইয়ুম নকলা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব এবং তার সহযোগী ফজলু একই গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে। তারা দুজনেই নকলা পৌরসভার ধুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকালে রাহাত ও ফজলু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে জানতে চান— “কৃষি কর্মকর্তা এখনো বদলি হননি কেন, কারা প্রণোদনা পেয়েছেন এবং নেতাদের ভাগ কত?” তারা দাবি করেন, “ছাত্রদলের ভাগ দিতে হবে।”
এ সময় কৃষি কর্মকর্তা জানান, সরকারি প্রণোদনা প্রকৃত কৃষকদের জন্য বরাদ্দ, সেখানে রাজনৈতিক ভাগাভাগির কোনো সুযোগ নেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে কর্মকর্তা বিষয়টি স্থানীয় বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলমকে জানালে, রাহাত আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং সহযোগী ফজলুকে সঙ্গে নিয়ে অফিসের ভেতরে ঢুকে কর্মকর্তাকে মারধর করেন।
ঘটনার পরপরই বুধবার রাতেই নকলা থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় রাহাত হাসান কাইয়ুম ও ফজলুকে আসামি করা হয়েছে।
জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসেম সিদ্দিকী বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা রাহাত হাসান কাইয়ুমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
নকলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কাশেম বলেন, “কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় নিয়মিত মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।”