রাজশাহীতে পরিচালিত বিশেষ অভিযান ‘অপারেশনস ফার্স্ট লাইট’-এ বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, মাদকদ্রব্য ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযানে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর ২০২৫) ভোর ৪টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজশাহী জেলার বাঘা থানার আতারপাড়া, মানিকের চর, চকরাজাপুর, কালিদাসখালী, পাকুরিয়া ও পলাশী ফতেপুর এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানটি পরিচালনা করেন রাজশাহী জেলা পুলিশ, র্যাব, আরআরএফ, এপিবিএন এবং নৌপুলিশের যৌথ টিম। অভিযানটির সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান, পিপিএম (বার), পিএইচডি। নেতৃত্ব দেন পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম।
অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে—
৩টি ওয়ান শুটারগান
১ রাউন্ড গুলি ও ১টি খোসা
২০ বোতল ফেন্সিডিল
৫০ পিস ইয়াবা
৮০০ গ্রাম গাঁজা
৫টি মোটরসাইকেল
১টি হাসুয়া ও ১টি চাকু
১. মোঃ জালাল উদ্দিন
২. মোঃ কামরুজ্জামান (৩৮)
৩. কবির উদ্দিন
৪. খবির উদ্দিন
৫. মোসাঃ মনোয়ারা খাতুন (৫০)
৬. মোসাঃ মনিয়ম খাতুন (৪২)
৭. মোঃ আনোয়ার হোসেন (৩৫)
৮. মোঃ আলমগীর হোসেন (৩৭)
৯. মোঃ আলম ইসলাম (১৮)
১০. মোঃ আশরাফুল ইসলাম (৩০)
১১. মোঃ বাচ্চু মণ্ডল (৩৯)
১২. আওলাদ হোসেন
১৩. মোঃ মিজানুর রহমান (২৬)
গ্রেফতারকৃতরা রাজশাহী জেলার বাঘা থানাসহ কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা বলে পুলিশ জানায়।
রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা জেলার পদ্মা তীরবর্তী দুর্গম চরাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চাঁদাবাজি, মাদক ও বালু দখল নিয়ে একাধিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আধিপত্য বিস্তার করে।
এ অবস্থায় স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ দমনে যৌথ বাহিনী এই বিশেষ অভিযান শুরু করে।
রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন,
“জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমনে পুলিশের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। চরাঞ্চলকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য।”
রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম জানান,
“অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বাঘা থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও মাদক আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জব্দ করা হয়েছে।”