মোঃ বেল্লাল হোসাইন নাঈম
স্টাফ রিপোর্টার
অনলাইন-বিকাশ প্রতারক চক্রের সক্রিয় এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নোয়াখালী।
গ্রেপ্তারকৃতের নাম মো. শাহআলম (২৯)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার গজারিয়া গ্রামের উত্তর পাড়া মিয়া বাড়ির এরশাদ মিয়ার ছেলে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান। এর আগে, গতকাল রবিবার বিকেলে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারের করিমপুর রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পিবিআই জানায়, ২০২৩ সালে শাহআলম ভিকটিমের কাছে ফেসবুক আইডির লিংক পাঠিয়ে ২০০ টাকা বিনিয়োগে পার্টটাইম কাজের প্রস্তাব দেন এবং টেলিগ্রাম অ্যাপে যোগাযোগ শুরু করেন। প্রথম লেনদেনে ২০০ টাকার বিনিময়ে ২৬০ টাকার অনলাইন প্রোডাক্ট কিনে লভ্যাংশসহ ৩৭০ টাকা ফেরত দেয়। এতে ভিকটিমের বিশ্বাস জন্মে এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন তারিখে আরও লেনদেন করতে থাকে।
লাভের আশায় ভুক্তভোগী ২০২৩ সালের ২১ জুন সর্বশেষ ১৩ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮৮ টাকা শাহআলমের বিকাশ ও বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে পাঠান। এরপর টাকা ফেরত চাইলেও শাহআলম নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকে। পরে সিটি ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার একাউন্টে আরও ৩ লাখ টাকা জমা দিতে বললে ভিকটিমের সন্দেহ হয় এবং তিনি সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
পিবিআই জানায়, শাহআলম উচ্চতর শিক্ষা অর্জনের জন্য চায়নার চংচিং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন (সিজিপিএ ২.৭৩)। কোভিড-১৯ মহামারীর সময় দেশে ফিরে এসে বেকার অবস্থায় অনলাইনে প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন দেখে তিনি প্রতারণার সাথে জড়িয়ে পড়েন।
পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, “গ্রেপ্তারকৃত শাহআলম অনলাইনে পার্টটাইম জবের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।”
সূত্র: পিবিআই নোয়াখালী