আবুল হাশেম
রাজশাহী ব্যুরোঃ
১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবিতে সারাদেশের মতো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালেও দ্বিতীয় দিনের মতো অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচিতে রামেকের সব টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট অংশ নেন। এর আগে গত ৩০ নভেম্বর দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছিলেন তারা। দাবি আদায় না হলে আগামী ৪ ডিসেম্বর পূর্ণদিবস কমপ্লিট শাট-ডাউন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছি। টেকনোলজিস্ট ছাড়া কোনো চিকিৎসা সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় না। স্বাস্থ্যসেবায় আমাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বৈষম্যের ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। দাবি না মানা হলে আন্দোলন চলমান থাকবে।”
বক্তারা আরও বলেন, “আমরাই একমাত্র সরকারি চাকরিজীবী যারা পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে সরকারের বিপুল রাজস্ব বাড়াই। কর্মবিরতির কারণে কোনো রোগী ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর দায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও প্রধান উপদেষ্টাকে নিতে হবে।”
তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “অবিলম্বে আমাদের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায় পূর্ণাঙ্গ শাটডাউনে যেতে বাধ্য হবো, তখন দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।”
কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন—রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ফার্মাসিস্ট সাইদুর রহমান, এমট্যাব রাজশাহী সভাপতি জহুরুল ইসলাম, এমট্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব অসিম কুমার ঘোষ, এমটিএফ রাজশাহী সভাপতি মামুনুর রশীদ, এমট্যাব রাজশাহী সাংগঠনিক সম্পাদক মিনজাহুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী মেডিকেল পরিষদের সভাপতি শরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
এদিকে আকস্মিক কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ভোগান্তিতে পড়েন। কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত সমাধানের জন্য সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।