শরিফা বেগম শিউলী
স্টাফ রিপোর্টার
রংপুরের মাহিগঞ্জ মেট্রোপলিটন থানাধীন বিহারী গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও ভন্ড কবিরাজি বন্ধ করার প্রেক্ষিতে ভাই ভাতিজাদের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মারামারি ঘটে। এতে দুইজন আহত হয়ে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি হন।
এই ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার রংপুর মহানগর প্রতিনিধি মোঃ জাহিদুল ইসলামকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হয়রানিমূলক মামলায় আসামি বানানোর অভিযোগ উঠেছে।
সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম জানান, গত ৫ই ডিসেম্বর সকালে পাভেল নামের এক ব্যক্তি তাকে খবর দেন যে কবিরাজের বাড়ীর সামনের মাঠে ভাই ভাতিজার মধ্যে জমিজমা ও ভন্ডামি বন্ধ করার বিষয় নিয়ে ঝগড়া হচ্ছে। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন মোবারক কবিরাজ তার বড়ভাইকে আঘাত করছেন। মোবারকের ছেলে সাজ্জাদুল হোসেন আলু রোপনের লাঙ্গল দিয়ে একজনের মাথায় আঘাত করছেন, আর অন্য ছেলে সজল বাঁশের লাঠি দিয়ে মুখে আঘাত করছেন।
জাহিদুল ইসলাম ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করতে গেলে মোবারক ও তার ছেলে ক্ষিপ্ত হয়ে তার ডিএসএলআর ক্যানোন ইওএস ৩০০০ ডি ক্যামেরা ভেঙে দেন এবং সাংবাদিকের বাম হাতের আঙুল ভেঙে হুমকি দেন যে তার নামেও মামলা করা হবে। ক্যামেরা ভেঙে যাওয়ায় ভিডিও ডকুমেন্টগুলোও নষ্ট হয়। তবে পাশে থাকা একজনের মোবাইল ফোনে কিছু ছবি সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে।
ঘটনার দুইদিন পর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ৯ই ডিসেম্বর জানতে পারেন যে মোবারকের ছেলে সাজ্জাদুল ইসলাম সুজন তাকে এবং আরও ৭ জনকে আসামি করে মাহিগঞ্জ মেট্রো থানায় মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং-২/৭৮)। জাহিদুল ইসলাম আদালতের মাধ্যমে জামিন পান। পরে থানার অফিসার ইনচার্জের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মামলার বিষয়ে অবগত হন।
স্থানীয়দের মতে, সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম ও বাকি ৭ জনকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তারা মনে করেন, ভন্ড কবিরাজি বন্ধ করার জন্য সাংবাদিককে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।
মাহিগঞ্জ মেট্রোপলিটন থানার অফিসার ইনচার্জ মাইদুল ইসলাম জানান, “মামলা যে কারো নামে হতে পারে। ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা না থাকলে চার্জশিট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাম বাদ দেওয়া হবে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”