হাবিবুর রহমান
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
জিয়া পরিবারের অভিভাবক,
প্রিয় তারেক রহমান মহোদয়—
সংগ্রামী শুভেচ্ছা ও আসসালামু আলাইকুম।
আমনিশার ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত বাংলার দিগন্তে সুদীর্ঘ ১৮ বছর পর এক ঝলমলে আলোকিত সূর্য উদিত হতে যাচ্ছে। আপনার আগমনী সংবাদে জিয়া পরিবারের সদস্যরা উচ্ছ্বসিত। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের অগ্রনায়ক হিসেবে প্রিয় জন্মভূমিতে আপনার প্রত্যাবর্তনের খবরে আজ পুরো বাংলাদেশ আপনাকে বরণ করতে ব্যস্ত। মহান আল্লাহর দরবারে আপনার নেক হায়াত, নিরাপদ ও সাফল্যমণ্ডিত শুভাগমন কামনা করছি।
হে বিনির্মিত বাংলার আগামীর প্রতিচ্ছবি,
আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর একজন ক্ষুদ্র কর্মী। ২০০৮ সাল থেকে জাতীয়তাবাদী আদর্শ বুকে ধারণ করে রাজপথের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে দলের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করে আসছি। ফ্যাসিস্ট সরকার যখন ক্ষমতার মসনদে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছিল, তখনও পুরো সময়জুড়ে আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় ছিলাম। এর ফলে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা, জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি।
শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনাকে জানাতে চাই, লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি–কমলনগর) আসনে বিএনপির মহাসংকটকালে আমরা দলের যে অভিভাবককে পেয়েছিলাম, তিনি হলেন বিএনপির সহ-শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক এবং লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের দুইবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য জননেতা এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান।
প্রিয় তারুণ্যের কবি তারেক রহমান,
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের টানা ১৭ বছরে রামগতি–কমলনগরের অন্তত ১০ হাজার নেতাকর্মী হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন; অধিকাংশই কারাবরণ করেছেন। সে কঠিন সময়ে বিএনপির কান্ডারি হিসেবে আমরা আশরাফ উদ্দিন নিজানকেই পাশে পেয়েছি। তিনি শুধু নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিয়ে জেল থেকে মুক্ত করার উদ্যোগ নেননি, বরং ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের পরিবারের আর্থিক সহায়তাও দিয়েছেন। তাঁর দক্ষ নেতৃত্ব, দলের প্রতি অগাধ ভালোবাসা এবং কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়নের ফলেই আজ এই আসনে বিএনপি ইস্পাতকঠিন ও ঐক্যবদ্ধ শক্তিতে পরিণত হয়েছে।
প্রিয় আগামীর রাষ্ট্রনায়ক,
আমরা বিএনপি পরিবার আশরাফ উদ্দিন নিজানের মাঝে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সততা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাহস এবং আপনার নিষ্ঠার প্রতিচ্ছবি দেখি। আমরা রামগতি–কমলনগরের বিএনপি পরিবার ধানের শীষের পরিবার। আপনি যদি আশরাফ উদ্দিন নিজানকে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করেন, ইনশাআল্লাহ আমরা তাঁকে বিজয়ী করে লক্ষ্মীপুর-৪ আসনটি আপনাকে উপহার দিতে পারব।
প্রিয় ভরসার বাতিঘর,
আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে আমি নিজে এবং আমার মতো রামগতি–কমলনগরের কয়েক হাজার নেতাকর্মী নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছি। দল ক্ষমতার বাইরে থাকলেও সুদীর্ঘ ১৭ বছর আশরাফ উদ্দিন নিজান আমাদের বুকে আগলে রেখে দলকে সুসংগঠিত রেখেছেন। আমরা কখনো দল ক্ষমতায় না থাকার শূন্যতা অনুভব করিনি—কারণ এমন একজন নেতা পেয়েছি, যিনি কোনো বিপদে আমাদের ছেড়ে যাননি।
প্রিয় যুবসমাজের আইডল,
আমি বিনীতভাবে জানাচ্ছি—আমি কখনো আপনার কাছে যেতে পারিনি, কখনো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছাকাছি গিয়ে বলতে পারিনি যে, আমি আপনার দলের একজন ক্ষুদ্র কর্মী। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি; কিন্তু আশরাফ উদ্দিন নিজানের মাঝে জিয়া পরিবারের মমত্ববোধ খুঁজে পেয়েছি।
মাননীয় তারেক রহমান,
আপনি নিজেই বলেছেন—জনগণের সঙ্গে যার সম্পর্কের নিবিড় বন্ধন রয়েছে, তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। দৃঢ়চিত্তে জানাচ্ছি, জননেতা আশরাফ উদ্দিন নিজানের রাজনৈতিক বিচক্ষণতা, দূরদর্শিতা ও দলের প্রতি অগাধ ভালোবাসার কারণে তাঁর নেতৃত্বে এই আসনে ৪৩ হাজার সাংগঠনিক নেতাকর্মী তৈরি হয়েছে। তাঁরা বিএনপি ও আশরাফ উদ্দিন নিজানের ডাকে রাজপথে জীবন দিতেও সদা প্রস্তুত।
গত প্রায় ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এমন কোনো দিন নেই, যেদিন তিনি রামগতি–কমলনগরে ছুটে এসে দলের জন্য মেহনত করেননি। তিনি নিজের পরিবারের চেয়েও এ অঞ্চলের জনগণকে বেশি ভালোবাসেন। ঘুম ছাড়া বাকি সময়টুকু জনগণ ও দলের পেছনেই ব্যয় করেন।
আশরাফ উদ্দিন নিজান এমন একজন নেতা—যিনি একজন রিকশাচালকের ফোন যেমন রিসিভ করেন, তেমনি একজন কৃষকের ফোনও গুরুত্ব দিয়ে গ্রহণ করেন। রামগতি–কমলনগরবাসী এমন নেতৃত্বই চায়, যাকে তারা বিপদে পাশে পেয়েছে এবং ভবিষ্যতেও পাবে।
হে আমাদের অহংকার তারেক রহমান,
পরিশেষে আপনার প্রতি বিনীত অনুরোধ—আমাদের দীর্ঘ লালিত স্বপ্ন অনুযায়ী আশরাফ উদ্দিন নিজান যেন বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে এই আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন। তাঁর নেতৃত্বে সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ। তাই লক্ষ্মীপুর-৪ আসনটি আপনাকে উপহার দিতে আশরাফ উদ্দিন নিজানকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার জন্য আপনার সদয় বিবেচনা কামনা করছি।
হে আগামীর রাষ্ট্রনায়ক,
দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে তিলতিল করে গড়ে তোলা বিএনপির ঘাঁটি, জিয়া পরিবারের সাজানো সংসারটি অটুট রাখতে লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে আমার হৃদয়ের স্পন্দন আশরাফ উদ্দিন নিজানের মনোনয়ন চূড়ান্ত ঘোষণায় আপনার দয়া প্রার্থনা করছি।
অনুরোধে
আব্দুল মন্নান
সদস্য, কমলনগর উপজেলা যুবদল
সাবেক সভাপতি, ৭নং হাজিরাটি ইউনিয়ন ছাত্রদল
কমলনগর, লক্ষ্মীপুর