মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় চাঞ্চল্যকর এক 'পারিবারিক নাটক' শুরু হয়েছে। প্রথম স্বামীকে মৌখিকভাবে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় প্রেমিককে স্বামী দাবি করে তার বাড়িতে অনশনে বসেছেন এক গৃহবধূ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ও কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের বাতিয়াগাঁও গ্রামে। অনশনকারী গৃহবধূ সাবানা (২২), ওই গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী। তবে সাবানার দাবি, তিনি মিজানুরকে মৌখিকভাবে তালাক দিয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলার জরিফ বাদশাকে বিয়ে করেছেন। বর্তমানে তিনি জরিফ বাদশার বাড়িতেই অবস্থান করছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে সাবানা ও মিজানুর রহমানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা গাজীপুরের টঙ্গীতে গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। অভিযোগ রয়েছে, বিয়ের আগে থেকেই সাবানার সঙ্গে জরিফ বাদশার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর ২৯ ডিসেম্বর সোমবার সাবানা হঠাৎ জরিফ বাদশার বাড়িতে উপস্থিত হন এবং নিজেকে তার স্ত্রী দাবি করে অনশন শুরু করেন। এদিকে জরিফ বাদশার ঘরে চার মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জরিফ বাদশা বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন।
সাবানার বক্তব্য: "আমি মিজানকে মৌখিকভাবে তালাক দিয়েছি এবং মুন্সির মাধ্যমে জরিফকে বিয়ে করেছি। আমরা এতদিন স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই ছিলাম। আমি আইনসম্মতভাবেই জরিফের সাথে সংসার করতে চাই।"
মিজানুর রহমানের দাবি: "সে আমাকে তালাকের কোনো কাগজ দেয়নি। মৌখিকভাবে তালাক দিয়ে অন্য একজনের সাথে সংসার করছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।"
কাগজপত্র ছাড়া মৌখিক তালাক এবং পুনরায় বিয়ের এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রথম স্বামী মিজানুর রহমান আইনি প্রতিকার চেয়েছেন। বিষয়টি আইনগতভাবে কীভাবে নিষ্পত্তি হবে, তা নিয়ে এখন জনমনে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।