মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত অপরূপ সৌন্দর্যমন্ডিত গজনী অবকাশ কেন্দ্রে এক বছরের জন্য প্রবেশমূল্য নির্ধারণ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে গজনী অবকাশের প্রধান গেইটে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন গজনী অবকাশ জামে মসজিদের ইমাম আবু হানিফ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গজনীর ইজারাদার মো. ফরিদ মিয়া, কাংশা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি দুলাল মন্ডল, ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কমল মিয়া প্রমুখ।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এক বছরের জন্য বড় যানবাহনের জন্য ৪০ লাখ এবং ছোট যানবাহনের জন্য ৪৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থাৎ মোট ৮৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা রাজস্ব খাতে জমা দিয়ে ইজারা গ্রহণ করা হয়েছে।
নির্ধারিত প্রবেশমূল্য নিম্নরূপ:
অটোবাইক: ১২০ টাকা
সিএনজি: ১৫০ টাকা
মোটরসাইকেল চালকসহ: ৬০ টাকা
যাত্রীপ্রতি: ২০ টাকা
বড় সুজন গাড়ি (৪০ যাত্রীসহ): ৭০০ টাকা
ছোট সুজন গাড়ি (২০ যাত্রীসহ): ৪০০ টাকা
রিকশা/ভ্যান: ৮০ টাকা
যাত্রীবিহীন যেকোনো যান: ৫০ টাকা
বড় বাস/ট্রাক (যাত্রীসহ): ১০০০ টাকা
মিনি বাস/ট্রাক/বড় পিকআপ: ৭০০ টাকা
ইজারাদার ফরিদ মিয়া ও অন্যান্য অংশীদাররা জানান, গজনী অবকাশ কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের জন্য নির্ধারিত ৩৩টি দর্শনীয় স্থানে প্রবেশের জন্য প্রধান গেইট ব্যবহার করতে হয়। তবে মূল গেইটে পাকা টুলঘর না থাকায় টুল আদায়ে ভরা মৌসুমে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রধান গেইটে স্থায়ী টুলঘর নির্মাণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান জানান, তিনি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবেন এবং সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ইজারাদারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে টুলঘর নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।