নোয়াখালী প্রতিনিধি | মোঃ বেল্লাল হোসাইন নাঈম

নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা অবনতি, হত্যা-চাঁদাবাজি ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চলমান অপপ্রচারের প্রতিবাদে নোয়াখালীর শাহাপুরে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৬টায় উপজেলার শাহাপুর ইউনিয়নের বিএনপির আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর।

সমাবেশে বক্তব্যে জহির উদ্দিন বাবর বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষক। তিনি শুধু ঘোষণা দিয়েই থেমে থাকেননি, নয় মাস রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। তার নেতৃত্বেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।”

তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান দেশে হত্যার রাজনীতি শুরু করেন, যা আজও চলমান। স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সারাদেশে হত্যা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, গুম ও সন্ত্রাস মহামারি আকার ধারণ করে।”

বাবর দাবি করেন, “বিএনপি, ছাত্র জনতা, অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও আপামর জনতার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলনের ফলে স্বৈরাচারী হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এ বিজয় শুধুমাত্র বিএনপির নয়, সকলের।”

তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে কেউ কোনো অপরাধে জড়ালে তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিন। আইন নিজের হাতে নেবেন না।”

বাবর তার বক্তব্যে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে কটূক্তি করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আপনারা যে ভুল করেছেন, ভবিষ্যতে যেন সেই ভুল আর না হয়। ফ্যাসিস্টদের উদ্দেশ্যে বলি, অতীতের ভুল সংশোধন করুন, না হলে জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না।”

তিনি বলেন, “ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের প্রতিটি বক্তব্যে বারবার বলেছেন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলদারের সঙ্গে কোনো আপস নেই। আমরা তার নির্দেশ বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।”

বিক্ষোভে আরও বক্তব্য রাখেন— উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ জামাল, সদস্য দিদার হোসেন, পরকোট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ ইউনুছ, সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন পাপ্পু, যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান বাবর, শফিউল বাশার বাবুল শেখ, শাহাপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ফজলে আজিম আরজু, পরকোট ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল আহমেদ, হাট পুকুরিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি এনায়েত প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল স্থানীয় এলাকায় পদযাত্রা করে।