শাহিন হাওলাদার, বরিশাল প্রতিনিধি:
বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে বরিশালের সদর রোডে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
দোয়া মাহফিলের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল – গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ, ছাত্রদলের প্রথম শহীদ ওয়াসিম আকরাম এবং অন্যান্য শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা লাভের জন্য দোয়া করা।
আয়োজনের নেতৃত্ব দেন বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোঃ আবদুল কাদের মোল্লা। তার সঞ্চালনায় ও দিকনির্দেশনায় দোয়া মাহফিলটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রাশেদ খান নাদিম, শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নাঈম ইসলাম, সদর প্রজন্মদলের সভাপতি ফারহান ফেরদৌস, চরমোনাই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন রুবেল এবং শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শিপন হাওলাদার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা ছাত্রদলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা।
দোয়া পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, “জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ছিল একটি ঐতিহাসিক প্রতিরোধ। এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তারা আমাদের পথপ্রদর্শক। আর যারা আহত হয়েছেন, তাদের ত্যাগও আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।”
তারা আরও বলেন, “আজকের প্রজন্মকে সেই আত্মত্যাগের ইতিহাস জানাতে হবে এবং শহীদদের রক্তঋণ শোধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”
বক্তারা শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, “ওই দিনগুলোর সাহসিকতা, ত্যাগ ও আদর্শ আগামী দিনেও আমাদের রাজনৈতিক পথচলায় প্রেরণা হয়ে থাকবে।”
দোয়া মাহফিলে কুরআন তেলাওয়াত ও মিলাদ পাঠের মাধ্যমে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। একই সঙ্গে আহতদের আশু সুস্থতা এবং দেশের সার্বিক শান্তি ও অগ্রগতির জন্য প্রার্থনা করা হয়।
এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে বরিশাল সদর ছাত্রদলের মধ্যে নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের কর্মসূচি নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্য, শৃঙ্খলা এবং শহীদদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি জোগায়।
শেষে আয়োজকরা জানান, শুধু মাহফিল নয়, আগামীতে শহীদদের স্মরণে ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচি চালিয়ে নেওয়া হবে। ছাত্রদলকে আগামীর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত করতে শহীদদের ত্যাগকে মাথায় রেখে রাজপথে সক্রিয় থাকাই হবে তাদের অঙ্গীকার।