বিশেষ প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় র্যাবের মাদকবিরোধী অভিযানে ৪৮০ পিস ইয়াবাসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই সক্রিয় সদস্যকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) রাত ১০টার দিকে উপজেলার রানীরবন্দর এলাকা থেকে র্যাব-১৩ এর একটি চৌকস দল এ অভিযান পরিচালনা করে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন—চিরিরবন্দর উপজেলার আব্দুলপুর ইউনিয়নের আন্ধারমুহা গ্রামের (শাহাপাড়া) সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল আমিনের ছেলে ও উপজেলা যুবলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান (২৬) এবং সাতনালা ইউনিয়নের ফুলুপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ও ছাত্রলীগ কর্মী সোহানুর রহমান সোহান সুমন (২৫)।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৩ এর একটি বিশেষ দল উপজেলার রানীরবন্দর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় আটক মাহফুজুর রহমানের পরিহিত প্যান্টের সামনের ডান পকেট থেকে একটি নীল রঙের বায়ুরোধক পলিজিপার প্যাকেটে রাখা ২০০ পিস ইয়াবা, একটি পুরাতন মোবাইল ফোন ও নগদ ৩৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়। অপর অভিযুক্ত সোহানুর রহমান সোহান সুমনের প্যান্টের ডান পকেট থেকে পাওয়া যায় আরেকটি পলিজিপার প্যাকেটে থাকা ২৮০ পিস ইয়াবা ও একটি মোবাইল ফোন। অভিযানে মোট ৪৮০ পিস অবৈধ ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে।
পরবর্তীতে আটককৃতদের চিরিরবন্দর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে র্যাবের ডিএডি আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে চিরিরবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আঃ ওয়াদুদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “র্যাবের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের পর আটককৃতদের ইয়াবাসহ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এদিকে, থানা সূত্রে জানা গেছে, আটক মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা রয়েছে এবং চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে নাশকতার অভিযোগে তার নাম উঠে এসেছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দলীয় পরিচয়ের আড়ালে মাদক বাণিজ্যের মতো অপরাধে যুক্ত থাকার বিষয়টি নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এলাকাবাসী র্যাব ও পুলিশের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে ভবিষ্যতেও নিয়মিত অভিযান চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
মাদক নির্মূলের এই কার্যক্রমে প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।