এইচ এম আলাউদ্দিন ষ্টাফ রিপোর্টার : পরিত্যাক্ত বাড়িতে জামরুল কুড়াতে গিয়ে মাদরাসা ছাত্র মামার ধূমপান করা দেখে ফেলায় শিশুশ্রেণী পড়ুয়া লামিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে মোঃ আরাফাত হোসেন (১৫)। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের ছোট বিন্নাদাইর গ্রামের ইউনুস আলীর পুত্র মোঃ আরাফাত বাঘাবাড়ি সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্র এবং নিহত লামিয়ার সম্পর্কে মামা। বৃহস্পতিবার সকালে সহকারী পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মোঃ কামরুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে জানান, ৩ জুন দুপুরে উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের ছোট বিন্নাদাইর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেত্রীর পরিত্যক্ত বাড়িতে জামরুল কুড়াতে যায় শিশু লামিয়া। ঐ বাড়ির রান্নাঘরে বসে ধূমপান করছিল লামিয়ার চাচাতো মামা মাদ্রাসা ছাত্র মোঃ আরাফাত হোসেন। ধূমপান করতে দেখে লামিয়া তার নানাকে বলে দেয়ার কথা বললে আরাফাত লামিয়ার মুখ চেপে ধরে। এসময় লামিয়া জ্ঞান হারালে মুখের মধ্যে গামছা ঢুকিয়ে দেয় আরাফাত। পরে বাড়ি থেকে স্কচটেপ হাত বেধে মুখে পেচিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় লামিয়া নড়াচড়া না করায় বুঝতে পারে মারা গেছে। তখন বাড়ির সেফটিক ট্যাঙ্কে লাশ ফেলে দিয়ে বাড়িতে চলে যায় আরাফাত। তিনি আরও জানান, গতকাল বুধবার ৪ জুন ভোরে লামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে পুলিশ। এদিন নিহত লামিয়ার বাবা মোঃ নাজিম সরকার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ সন্দেহভাজন আরাফাতকে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করলে হত্যার কথা স্বীকার করে। উল্লেখ্য, ৩ জুন মঙ্গলবার বিকালে নানা আব্দুর রশীদের বাড়ি থেকে নিখোজ হয় লামিয়া। সারাদিন খোজাখুজির পরও লামিয়াকে না পাওয়ায় ঐদিন রাত ৮টার দিকে শাহজাদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। পরে শাহজাদপুর থানার ওসি মোঃ আছলাম আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম রাতভর অভিযান চালিয়ে ভোর ৪ টার দিকে বিন্নাদাইর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপার পরিত্যাক্ত বাড়ির সেপ্টিক ট্যাঙ্ক থেকে লামিয়ার লাশ উদ্ধার করে।#