মনজু হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার:
পঞ্চগড় সদর উপজেলা মহিলা দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির। শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়াম হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন, এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সুফিয়া বেগম।
অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন জেলা মহিলা দলের সভাপতি লায়লা আরজুমান্দ বানু মুক্তি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ মজিদ, অ্যাডভোকেট মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রিনা পারভিন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু দাউদ প্রধান, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান বাবু, এবং সাবেক জেলা সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউজ্জামান পাটোয়ারী রুবেল।
মতবিনিময় সভায় পঞ্চগড় সদর উপজেলার অন্তর্গত ১০টি ইউনিয়নের মহিলা দলের নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত থেকে ব্যারিস্টার নওশাদ জমিরের কাছে তাদের দীর্ঘ ১৫ বছরের রাজনৈতিক নিপীড়নের কথা তুলে ধরেন।
তারা বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে আমরা নানা নির্যাতন, মামলার ভয় ও দমন-পীড়নের মুখে থেকেও রাজপথে থেকেছি। এখন সময় এসেছে গণতন্ত্র ও দলের জন্য একযোগে কাজ করার।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির বলেন,
“আপনাদের আর কারো নির্দেশনার অপেক্ষায় থাকতে হবে না। আপনাদের শক্তি, সাহস, মনোবলই এই দলের মূল সম্পদ। মহিলা দল শুধু উপস্থিতির জন্য নয়, নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে। পাড়া-মহল্লা, বাসা-বাড়ি—সর্বত্র জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান। আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা দল থেকে দেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে সংগ্রামের বার্তা দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে হবে মাঠপর্যায়ের ত্যাগী নেত্রীদের। নারী নেতৃত্বের শক্তিই এই আন্দোলনের অন্যতম চালিকা শক্তি।”
সভায় অন্যান্য অতিথিরাও আগামী দিনের আন্দোলন ও রাজনৈতিক প্রস্তুতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, সরকার পতনের আন্দোলনে মহিলা দলের ত্যাগ ও সাহসিকতা অতীতেও প্রমাণিত হয়েছে, ভবিষ্যতেও তা আরও প্রাসঙ্গিক হবে।
জেলা মহিলা দলের সভাপতি লায়লা আরজুমান্দ বানু মুক্তি বলেন, “আমরা আর পেছনে ফিরে তাকাব না। ব্যারিস্টার নওশাদ জমিরের উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। পঞ্চগড়ের প্রতিটি নারী নেত্রী এখন চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত।”
সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকারের সময় রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় নারীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। অনেকেই মামলার শিকার, কেউ কেউ কর্মক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়ছেন।
মতবিনিময় সভাটি স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতার সরাসরি উপস্থিতি এবং মহিলা দলের নেত্রীদের সরব ভূমিকা আগামী দিনে বৃহত্তর রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পঞ্চগড়ের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।