বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি:
বরিশাল জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা বাকেরগঞ্জ, যা নদীমাতৃক এবং প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ বসবাসকারী অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। এখানে প্রশাসনিক কার্যক্রম দক্ষতার সাথে পরিচালনা করা চ্যালেঞ্জিং, বিশেষত জনসেবার ক্ষেত্রে। এমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আফরোজ, যিনি ২৪ সালের শেষের দিকে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দায়িত্বের পাশাপাশি বাকেরগঞ্জ পৌরসভা ও অন্যান্য অতিরিক্ত দায়িত্বও সামলাচ্ছেন।
যোগদানের পর থেকেই ইউএনও রুমানা আফরোজ রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি শুধু কাগজপত্রের কাজেই সীমাবদ্ধ নন, বরং সপ্তাহের বেশিরভাগ সময় উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র পরিদর্শন, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য মাঠে সক্রিয় থাকেন। এভাবে তিনি প্রশাসনিক দায়িত্বের সঙ্গে জনসেবা নিশ্চিত করতে নিবেদিতপ্রাণভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
নারীরা এখন প্রতিটি ক্ষেত্রে পুরুষদের সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষাজীবন থেকে শুরু করে পেশাগত জীবনে নারীরা দক্ষতা ও বিচক্ষনতা প্রদর্শন করছেন। মাঠ প্রশাসনেও নারীরা তার ব্যতিক্রম নন। বরিশালের বাকেরগঞ্জে ইউএনও রুমানা আফরোজ এই প্রমাণ দিয়েছেন যে, নারী কর্মকর্তার আন্তরিকতা, দক্ষতা ও সততা প্রশাসনের কার্যক্রমকে সফলতার শীর্ষে নিয়ে যেতে পারে।
যোগদানের পর থেকেই ইউএনও রুমানা আফরোজের জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডে উপজেলাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাঁর প্রশংসা করছেন। স্থানীয়রা বলছেন, “উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্ব পালন ও জনসেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তিনি এমন এক নমুনা স্থাপন করেছেন যা অনেককে অনুপ্রাণিত করবে।”
রুমানা আফরোজ জানান, “উপজেলাবাসীকে সেবা দেওয়ায় কোনো ঘাটতি থাকবে না। যতদিন দায়িত্বে থাকব, ততদিন শতভাগ আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাব।” এই আত্মপ্রত্যয় ও নিষ্ঠা তার কর্মকাণ্ডে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নয়নে তার উদ্দীপনা এবং মাঠে উপস্থিতি স্থানীয়দের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তিনি শুধু সরকারি নীতি কার্যকর করছেন না, বরং স্থানীয় মানুষের সমস্যার সমাধান এবং সরকারি সেবা পৌঁছে দেওয়ায় মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানি সরবরাহ ও স্থানীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ নানা ক্ষেত্রে ইউএনও রুমানা আফরোজ নিয়মিত পরিদর্শন এবং প্রকল্প তদারকি করছেন। তিনি স্থানীয় কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে জনসেবা আরও কার্যকর করছেন। এর ফলে মানুষ প্রশাসনের প্রতি আস্থা পুনরুদ্ধার করছে।
স্থানীয়রা উল্লেখ করেছেন, রুমানা আফরোজের নেতৃত্বে প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ন্যায়পরায়ণতা দৃশ্যমান হয়েছে। তার আন্তরিকতা এবং নিষ্ঠার কারণে সরকারের বিভিন্ন নীতি ও প্রকল্প সরাসরি উপকারে পৌঁছাচ্ছে জনগণের কাছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীরা প্রশাসনে এগিয়ে আসার ফলে মাঠ প্রশাসনের সেবার মান ও কার্যকারিতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। রুমানা আফরোজের কর্মকাণ্ড এক উদাহরণ স্থাপন করেছে যে, নারী কর্মকর্তা দক্ষতা ও আন্তরিকতা প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।
সর্বশেষ, রুমানা আফরোজ আশ্বাস দিয়েছেন, “উপজেলাবাসীকে সেবা দেওয়ায় কোনো ছাড় হবে না। আমি প্রতিটি প্রকল্প ও সেবা পৌঁছানো নিশ্চিত করব এবং জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব।” তার এই দৃঢ় সংকল্প ও নিষ্ঠার মাধ্যমে বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।