আবুল হাশেম, রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহীতে স্থানীয় পত্রিকার একজন সম্পাদকসহ ছয় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ শেষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাজশাহীর শিরোইল বাস টার্মিনালের পূর্বালী মার্কেটে অবস্থিত রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় সাংবাদিক নেতারা এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব, রাজশাহী বিভাগীয় প্রেসক্লাব, রাজশাহী অনলাইন সাংবাদিক ফোরাম, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী শাখা, রুরাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী শাখা, বাংলাদেশ সেন্টাল প্রেসক্লাব রাজশাহী শাখা ও রাজশাহী অনলাইন প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, আরএমপি’র শাহমখদুম থানার ওসি ও প্রতারক আক্তারুল ইসলামের যোগসাজশে সাংবাদিকদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে উল্টো ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ছয় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে। তারা বলেন, “এ ঘটনা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি এবং গণমাধ্যমকে স্তব্ধ করার অপচেষ্টা।”
আল্টিমেটাম শেষে সভায় সিদ্ধান্ত হয়— আজ থেকে আরএমপি পুলিশের সব ধরনের সংবাদ বয়কট করা হবে। পাশাপাশি ওসি অপসারণ ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন এবং আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাংবাদিক নেতারা হুঁশিয়ারি দেন, “দাবি না মানা হলে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে।”
এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে মানববন্ধন করে সাংবাদিকরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন মামলা প্রত্যাহার ও ওসি অপসারণের।
উল্লেখ্য, সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রতারক আক্তারুল ইসলামের পক্ষ নিয়ে শাহমখদুম থানার ওসি মাছুমা মুস্তারী ছয় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— রাজশাহীর আলো পত্রিকার সম্পাদক আজিবার রহমান, সিনিয়র ফটো সাংবাদিক ফায়সাল হোসেন, আরটিভির ক্যামেরাম্যান আরিফুল হক রনি, কালের কণ্ঠের নাঈম হোসেন, গণমুক্তি পত্রিকার মাজহারুল ইসলাম ও আজকের প্রত্যাশার নাজমুল হক।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে পুলিশ এ মামলা রেকর্ড করেছে বলে অভিযোগ করেছেন সাংবাদিকরা।