শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) করার সময় ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করতে গিয়ে একজন রোহিঙ্গা যুবক আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আটক যুবক মো. আমিন (ছদ্মনাম আলম মিয়া) নিজের নাম আলম মিয়া এবং বাবার নাম আলী উল্লেখ করে শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার ভোটার হিসেবে আবেদন করেন। কিন্তু নথিপত্র যাচাই ও কথাবার্তায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে।
পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন, তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা এবং প্রকৃত নাম মো. আমিন। তার বাবা জাহিদ হোসেন ও মা গুলবাহার।
শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “সন্দেহজনক কাগজপত্র দেখে আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। পরে নিজেই রোহিঙ্গা পরিচয় স্বীকার করেন। তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”
শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়জুর রহমান বলেন, “জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য প্রয়োজনীয় নথি যাচাই করার সময় তার কথাবার্তায় অসঙ্গতি দেখা দেয়। ফলে প্রকৃত পরিচয় উদঘাটন সম্ভব হয়েছে।”
শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, “রোহিঙ্গা যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের পর দেখা হচ্ছে, তার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।”
আটক মো. আমিন জানান, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হবার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করি।”