মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সৃষ্ট ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মুহূর্তের মধ্যেই ৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে দুইজন গারো আদিবাসী নারী উদ্যোক্তাও রয়েছেন।
বুধবার (৮ অক্টোবর) ভোররাতে উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারোমারী মিশন রোডের বটতলা মোড়ে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, ভোর ৫টার দিকে গারো নারী মিতালী ঘাগ্রার মালিকানাধীন “সিলসি বস্ত্রালয়” থেকে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে খোরশেদ আলমের “ভাই ভাই হোটেল”, আলহাজ জমশেদ আলীর “আল্লাহ সাফি ফার্মেসী”, প্রজাপতি সাংমার কাপড়ের দোকান এবং বন্দনা চাম্বুগংয়ের বন্ধ মনোহারী দোকান সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই এলাকাবাসী ও বারোমারী বিজিবি ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা পানি ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। ততক্ষণে দোকানগুলোর সব মালামাল ছাই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলেন, আগুনে তাদের জীবনভর সঞ্চয় পুড়ে গেছে। তারা এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন এবং দ্রুত সরকারি ও বেসরকারি সহায়তা কামনা করছেন।
“ভাই ভাই হোটেল”-এর মালিক আরশেদ আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“নন্নী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে একাধিকবার ফোন দিয়েও কোনো সাড়া পাইনি। যদি তারা সময়মতো বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করত, তাহলে আগুন এতটা ছড়াত না।”
নালিতাবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জাকারিয়া ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কাপড়ের দোকানের বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের হিসেবে আনুমানিক ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি বলেন,
“আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবো। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”