স্টাফ রিপোর্টার :
শেরপুর জেলা প্রশাসনে নতুন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেছেন জনাব সাইফুল ইসলাম কমল। বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তরফদার মাহমুদুর রহমান ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে তাকে বরণ করে নেন।
নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা তাঁকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। উপস্থিত সকলেই আশা প্রকাশ করেন, তাঁর অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও নেতৃত্বে শেরপুর জেলা প্রশাসনের কার্যক্রম আরও গতিশীল, জনগণমুখী ও স্বচ্ছ হবে।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, “জনাব সাইফুল ইসলাম কমল একজন কর্মঠ ও দক্ষ কর্মকর্তা। তাঁর যোগদানের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন উন্নয়ন ও জনসেবামূলক কার্যক্রম আরও গতি পাবে বলে আমরা আশাবাদী।”
নবনিযুক্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম কমল বলেন, “আমি শেরপুর জেলায় যোগদান করতে পেরে গর্বিত ও আনন্দিত। এই জেলার মানুষের সেবা ও উন্নয়নের জন্য সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করব। জেলা প্রশাসনের চলমান উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলোকে আরও সমৃদ্ধ করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।”
যোগদান অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, দপ্তর প্রধান ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা নবাগত কর্মকর্তার হাতে ফুল তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, শেরপুর জেলার প্রশাসনিক কাঠামো ও উন্নয়ন কার্যক্রমে একজন দক্ষ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিবেশ সংরক্ষণ ও সেবাখাতে নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে জেলা উন্নয়নে নতুন গতি আসবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, সাইফুল ইসলাম কমল একজন প্রশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তিনি এর আগে বিভিন্ন জেলায় দায়িত্ব পালন করে সুনাম অর্জন করেছেন। মাঠ প্রশাসনে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ও জনগণের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ তাঁকে একজন দক্ষ প্রশাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
শেরপুরের জনগণ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নবনিযুক্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের যোগদানকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে নতুন উদ্যম ও গতি আসবে। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন, প্রশাসন ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।
শেরপুর জেলার সার্বিক উন্নয়ন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং সরকারি সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তাঁর অবদান জেলার অগ্রগতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে সকলেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।