মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ভালুকা গ্রামে এক গৃহবধূকে টেনে-হিঁচড়ে বাড়ি থেকে বের করে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও বিবস্ত্র করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের এক পরিবারের বিরুদ্ধে। শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রাশিদা বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আক্রাম হোসেনের দুই ছেলে ফজলুল করিম ও ফরহাদ হোসেনকে আটক করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে রাশিদা বেগমের পরিবারের সঙ্গে আক্রাম হোসেনের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার সকালে রাশিদা বেগম নিজ ঘরে কাজ করছিলেন। এ সময় আক্রাম হোসেন ও তার ছেলেরা পূর্ব শত্রুতার জেরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং একপর্যায়ে টেনে-হিঁচড়ে তাকে ঘর থেকে বের করে এনে মারধর ও বিবস্ত্র করে লাঞ্ছিত করে।
রাশিদার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় রাশিদা বেগমকে উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
ভুক্তভোগী রাশিদা বেগম বলেন, “আক্রাম হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে আমার পরিবারের সঙ্গে শত্রুতা করে আসছে। তারা পূর্বেও আমার ঘরের দরজা, জানালা ও বৈদ্যুতিক মিটার নিয়ে গেছে। তাদের ভয়ে আমি সবসময় আতঙ্কে থাকি।”
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিনের জমি-সংক্রান্ত বিরোধ থেকেই এই হামলার সূত্রপাত। তারা দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আল আমিন বলেন, “ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে আটক করা হয়েছে এবং ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”