মোঃ বেল্লাল হোসাইন নাঈম, স্টাফ রিপোর্টার
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী তানজিল ইবনে ইয়াকুব (আল নাখিল) ও তাঁর পরিবারের ওপর হামলা, সম্পত্তি দখলের চেষ্টা এবং মিথ্যা সংবাদ প্রচারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আল নাখিল ও তাঁর স্বজনরা।
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রবাসী তানজিল ইবনে ইয়াকুব (আল নাখিল)।
তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসী মাসুদ পাটোয়ারী ও তাঁর ভাই ইমন গং দীর্ঘদিন ধরে তাদের পরিবারকে ভয়ভীতি ও নির্যাতনের মাধ্যমে হয়রানি করে আসছে।
আল নাখিল বলেন,
“আমি প্রবাসে থাকায় তারা প্রকাশ্যে বলছে, দেশে ফিরলে আমাকে ও আমার পরিবারকে হত্যা করবে।”
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও জানান, গত ৯ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে সন্ত্রাসীরা তাঁর মায়ের নামে ক্রয়কৃত জমিতে জোরপূর্বক বাথরুম নির্মাণ শুরু করে। পরিবারের সদস্যরা বাধা দিলে তারা লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ চালিয়ে তাঁকে ও তাঁর মাকে আহত করে।
অভিযোগে বলা হয়, হামলাকারীরা বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে নগদ ৪৫ হাজার টাকা ও এক ভরি স্বর্ণের চেইন (মূল্য প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা) লুট করে এবং রান্নাঘরে আগুন লাগিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে।
আল নাখিল আরও বলেন, সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে তাকে মিথ্যা হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই-এর তদন্তে তাঁর সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় আদালত তাঁকে অব্যাহতি দেন।
তিনি অভিযোগ করেন, মাসুদ পাটোয়ারী একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ও ২৪ শে ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার পলাতক ব্যক্তি। তবুও প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতায় সে এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।
এছাড়া, কখনও সাংবাদিক, কখনও পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে এবং চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করছে বলেও অভিযোগ করেন আল নাখিল।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ওই সন্ত্রাসীচক্র কিছু নামধারী সাংবাদিকের মাধ্যমে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন,
“আমাদের কাজ সংবাদ প্রচার করা, সত্য-মিথ্যা যাচাই করা প্রশাসনের কাজ।”
শেষে প্রবাসী তানজিল ইবনে ইয়াকুব (আল নাখিল) তাঁর ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মিথ্যা সংবাদ প্রচারের তীব্র নিন্দা জানান। তিনি প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান যাতে তাঁর পরিবার নিরাপদে থাকতে পারে এবং প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হয়।