
আবুল হাশেম
রাজশাহী ব্যুরোঃ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত নাম মালয়েশিয়া যুবদল মালাক্কা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কুয়ালালামপুর মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম বিলাত।
রাজনীতির পাশাপাশি সমাজসেবায় নিজেকে যুক্ত রাখায় প্রবাসী ও স্থানীয় দুই পরিমণ্ডলেই তিনি সমানভাবে পরিচিত। তরুণ এই নেতা এখন এলাকাবাসীর কাছে পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে দেখা দিচ্ছেন।
তরুণ বয়স থেকেই যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বিলাত দীর্ঘদিন বিদেশে থেকেও দলের তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রেখেছেন। সমাজসেবা, শিক্ষা সহায়তা এবং মাদকবিরোধী কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি এলাকায় জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
আরিফুল ইসলাম বিলাত বলেন,
“বাঘা-চারঘাটকে মাদকমুক্ত করা আমাদের অঙ্গীকার। ‘মাদককে না বলি, মাদকমুক্ত সমাজ গড়ি’— এটাই হবে আমাদের আন্দোলনের মূল স্লোগান। মাদকের ছোবল থেকে তরুণ সমাজকে রক্ষা করতে না পারলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।”
তিনি আরও বলেন,
“আমার লক্ষ্য কেবল রাজনীতি নয়, মানুষের জীবনমান উন্নয়ন। বাঘা-চারঘাটে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও শিল্পায়নের সমন্বিত উন্নয়নই আমার অগ্রাধিকার। পদ্মা নদীর পাড়ের এই অঞ্চলটি পর্যটন, ফলচাষ ও ক্ষুদ্র শিল্পে সম্ভাবনাময়— যদি সঠিক পরিকল্পনায় এগোনো যায়।”
বিলাত বিশ্বাস করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কারের সবচেয়ে বাস্তবসম্মত রূপরেখা।
“১৭ বছরের প্রবাস জীবন তারেক রহমানকে দিয়েছে বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা ও নতুন নেতৃত্বের দৃষ্টিভঙ্গি। তার নেতৃত্বে ঘোষিত ৩১ দফা শুধু রাজনৈতিক ঘোষণা নয়, এটি বাংলাদেশের পুনর্গঠনের নকশা,”— বলেন বিলাত।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনটি বিএনপির জন্য ঐতিহ্যবাহী ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এখানে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকলেও বিলাতের প্রবাসী অভিজ্ঞতা, পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি ও মাঠপর্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা তাকে এগিয়ে রেখেছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
তাদের মতে, বিএনপি এবার এমন প্রার্থী চাইছে যিনি জনপ্রিয়তার পাশাপাশি সৎ, স্বচ্ছ চরিত্রের অধিকারী এবং জনগণের বাস্তব সমস্যা জানেন। এ বিবেচনায় অনেকেই মনে করছেন— আরিফুল ইসলাম বিলাতই হতে পারেন সেই নতুন প্রজন্মের মুখ, যিনি দল ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে সক্ষম।
স্থানীয় জনগণের মধ্যেও বিলাতের পক্ষে ব্যাপক সাড়া দেখা যাচ্ছে।
চারঘাটের এক ব্যবসায়ী বলেন,
“বিলাত ভাই বিদেশে থেকেও এলাকার মানুষের খবর রাখেন। অসহায়দের পাশে দাঁড়ান, মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকেন— এমন নেতা এখন খুব দরকার।”
বাঘার কলেজছাত্রী আফরিন হোসনা বলেন,
“আমরা তরুণ ভোটাররা চাই পরিবর্তন। আমাদের প্রথম ভোট হবে গণতন্ত্রের পক্ষে— অর্থাৎ ধানের শীষে। আমরা চাই তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ গড়ার পথে বিলাত ভাই যেন আমাদের এমপি হন।”
স্থানীয় কৃষক আবদুল হান্নান বলেন,
“তিনি শিক্ষিত, প্রবাসে থেকেও এলাকার উন্নয়নে চিন্তা করেন। যোগাযোগ, কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে তাঁর পরিকল্পনা আছে। আমরা এমন নেতাকেই পাশে চাই।”
আরিফুল ইসলাম বিলাতের ভাষায়,
“রাজনীতি মানে ক্ষমতার খেলা নয়, জনগণের সেবা। আমি চাই বাঘা-চারঘাটের মানুষ নতুন ভবিষ্যৎ দেখুক— যেখানে থাকবে কর্মসংস্থান, নিরাপদ সমাজ ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা।”