
মোঃ বেল্লাল হোসাইন নাঈম
স্টাফ রিপোর্টার
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া বাজার কালী মন্দিরের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও ব্যক্তিগত আক্রোশপ্রসূত বলে দাবি করেছে মন্দিরের কার্যকরী কমিটি ও যুব কমিটির নেতৃবৃন্দ। এ অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর ২০২৫) খিলপাড়া বাজার কালী মন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্দিরের সভাপতি বাবু ব্রজলাল দাসের বিরুদ্ধে মানিক চন্দ্র দাস কর্তৃক উত্থাপিত অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। মন্দিরের কার্যকরী কমিটি ও যুব কমিটির যৌথ সিদ্ধান্তে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ দেবব্রত পাল। তিনি বলেন, বাবু ব্রজলাল দাস খিলপাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন স্বনামধন্য শিক্ষক ছিলেন। তিনি প্রায় ৩৮ বছর সুনাম ও নিষ্ঠার সঙ্গে শিক্ষকতা শেষে অবসর গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি প্রায় ৫০ বছর ধরে তিনি খিলপাড়া বাজার কালী মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এবং এর মধ্যে প্রায় ২৮ বছর অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
দেবব্রত পাল আরও বলেন, “আমি দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর ধরে মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এই সময়ে বাবু ব্রজলাল দাসকে একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও পরোপকারী ব্যক্তি হিসেবেই পেয়েছি। তিনি কখনো মন্দিরের অর্থ বা সম্পদ আত্মসাৎ করার মানসিকতা পোষণ করেননি। বরং সবসময় ব্যয় সাশ্রয় করে মন্দিরের উন্নয়নের জন্য উদ্বৃত্ত রাখার বিষয়ে সচেষ্ট ছিলেন।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের কেউ বিপদে পড়লে বাবু ব্রজলাল দাস সর্বদা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ কেবল ব্যক্তিগত নয়, এটি মন্দির ও মন্দির কমিটির সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা বলেও দাবি করা হয়।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, মানিক চন্দ্র দাস মন্দিরের কোনো কমিটির সদস্য নন এবং মন্দিরের কোনো কার্যক্রমেও তাকে নিয়মিত দেখা যায় না। ব্যক্তিগত রোষের বশবর্তী হয়ে তিনি এ ধরনের মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন বলে তারা দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলন থেকে অবিলম্বে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সকল স্থান থেকে মানিক চন্দ্র দাসের দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের জোর দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে মন্দির সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে সঠিক তথ্য না জেনে বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য তাকে সতর্ক করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্দির কমিটির সহ সম্পাদক গোবিন্দ কর্মকার, হিন্দু সমাজের পক্ষে সজল চন্দ্র দাস ও রাজিব রায়, উপদেষ্টা যোগেস কুরী, গোরাঙ্গ কর্মকার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নিহার চন্দ্র দাস, সুধাংসু মালাকার, অজিত কুরী, প্রবির কুরী, যুব কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুভ কুরী, সহ সাধারণ সম্পাদক প্রতীম দত্ত, সুমন মালাকারসহ মন্দিরের কার্যকরী কমিটি, যুব কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ।