
স্টাফ রিপোর্টার:
মনজু হোসেন
পঞ্চগড়ে হোমিও চিকিৎসার আড়ালে ভেজাল ও অবৈধ ফুড সাপ্লিমেন্ট পণ্য বিক্রির অভিযোগে সত্যেন্দ্রনাথ রায় নামে এক হোমিও চিকিৎসককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। একই সঙ্গে তার গুদাম থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ফুড সাপ্লিমেন্ট পণ্য জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (বিকেল) শহরের বানিয়াপট্টি এলাকায় অবস্থিত রায় হোমিও হল এবং অপুলেন্ট ই-কমার্স ইন্টারন্যাশনালের গুদামে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পঞ্চগড় জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এ. এস. এম. মাসুম-উদ-দৌলা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. মাসুদ হাসান এবং জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা জয় চন্দ্র বর্মন।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, অপুলেন্ট ই-কমার্স ইন্টারন্যাশনালের প্রায় ১৩ ধরনের ফুড সাপ্লিমেন্ট পণ্য ওষুধ হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছিল, যার অধিকাংশেরই কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। পণ্যের মোড়কে মূল্য উল্লেখ না থাকার পাশাপাশি মেয়াদ ও মান নিয়েও ত্রুটি পাওয়া যায়। এছাড়া মসলা জাতীয় পণ্য হলুদের গুড়ায় চক পাউডারের উপস্থিতির প্রমাণ মেলে।
এ ছাড়া একাধিক অনিয়মের কারণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর ৪৫ ধারায় আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং অবৈধ পণ্য জব্দ করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সত্যেন্দ্রনাথ রায় দীর্ঘদিন ধরে ‘অপুলেন্ট ই-কমার্স ইন্টারন্যাশনাল’ নামের একটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের ফুড সাপ্লিমেন্ট পণ্যকে ওষুধ হিসেবে প্রচার ও বিক্রি করে আসছেন। এসব পণ্যকে সব রোগের কার্যকর ওষুধ দাবি করে উচ্চমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। এ কাজে একটি সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পঞ্চগড় জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এ. এস. এম. মাসুম-উদ-দৌলা বলেন, “এসব পণ্যকে কোনোভাবেই ওষুধ হিসেবে প্রচার বা বিক্রির সুযোগ নেই। অভিযানের সময় পণ্যের বৈধতার পর্যাপ্ত প্রমাণ আমরা পাইনি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত প্রমাণাদি উপস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ততদিন পর্যন্ত তাদের ব্যবসা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “জব্দ করা পণ্যগুলো সিভিল সার্জনের প্রতিনিধির হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি পণ্যের মান যাচাইয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে।”