আমিরুল ইসলাম, শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে আদিবাসী নারীর বিরুদ্ধে ভুয়া উত্তরাধিকার তৈরি করে জমি লিখে নেওয়া এবং মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পোড়াগাঁও ইউনিয়নের মেষকুড়া গ্রামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীর সহোদর বোন বিথিলা চাম্বুগং বলেন, “আমার সহোদর বোন বন্দনা চাম্বুগংকে মাইন উদ্দিন, আব্দুল খালেক, আব্দুস সালাম ও জীবিতা মারাক মিলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে ও নানা অপকৌশলে ৪ একর ৯২ শতাংশ জমি দখল করে এবং নানা হয়রানির শিকার করেছে।”
তিনি আরও জানান, মৃত মিজাজ মারাকের জমি বিআরএস রেকর্ড অনুযায়ী খতিয়ানে খোদ ‘খ’ তফসিলভুক্ত। ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মিজাজ মারাকের নাতি ঘরের পুতি বন্দনা চাম্বুগং-এর নামে জমি খারিজ সম্পন্ন হয়। তবে পরবর্তীতে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত প্রভাব ব্যবহার করে মাইন উদ্দিন ও আব্দুল খালেকের পরিবারের সদস্যরা ভুয়া উত্তরাধিকার সনদ তৈরি করে জমি নিজের নামে লিখে নিয়েছে।
বিবাদী পক্ষ হিসেবে, ২০২৪ সালের ১০ জুন পোড়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মাও: জামাল উদ্দিনের প্রদত্ত উত্তরাধিকার সনদে বন্দনা চাম্বুগংকে মিজাজ মারাকের উত্তরাধিকারী দেখানো হয়, অথচ একই সময় জীবিতা মারাক ভুয়া এফিডেভিটের মাধ্যমে নিজেদের দাবী তুলে জমির মালিকানা নিজের নামে লিখে নেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এছাড়া সম্প্রতি বন্দনার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করার অভিযোগ তুলেছেন পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, “এই সব অপকৌশল ও মিথ্যা মামলা দ্বারা আমাদের পরিবারকে হয়রানী করা হচ্ছে। আমরা ন্যায্য উত্তরাধিকার ও জমি রক্ষা করতে চাই।”
ভুক্তভোগী পরিবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দাবি জানিয়েছেন, তারা মিথ্যা মামলা ও জমি আত্মসাতের কার্যকলাপ থেকে রক্ষা পেতে আইনগত সহায়তা ও সামাজিক সমর্থন চান।