আশিকুর রহমান, গাজীপুর:
গাজীপুরের টঙ্গীতে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ। অভিযানে তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আছেন চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ২০ মামলার আসামি কামরুজ্জামান খন্দকার শাওন (৩৫)। শাওন গাজীপুর জেলার টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন খরতৈল এলাকার মৃত কাজল খন্দকারের ছেলে।
পুলিশের হাতে আটক অপর তিনজন হলেন—
গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার পেলাইত গ্রামের মোঃ শহীদের ছেলে মোঃ জব্বার খাঁ জয় (২৮),
শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানার রাবারডেম, বোগারপাড়া গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন (২৫),
শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানার রাবারডেম, বোগারপাড়া গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে হযরত আলী (২০)।
পুলিশ জানায়, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টঙ্গী পূর্ব থানার একটি বিশেষ দল হিমার দিঘি হকের মোড় এলাকায় কোকাকোলা গেটের পাশে অভিযান চালায়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযানে নেতৃত্ব দেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এস এম মেহেদী হাসান।
এসআই মেহেদী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় ওই এলাকায় একটি ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হয়। চারজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে, তবে আরও ৮-১০ জন সহযোগী পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইচ গিয়ার এবং তিনটি দেশীয় চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত শাওন দীর্ঘদিন ধরে এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ২০টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, অস্ত্র আইন ও মাদক সংক্রান্ত অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত।
গ্রেপ্তারকৃত জব্বার খান জয়-এর বিরুদ্ধেও একটি হত্যা মামলা বিচারাধীন। ইসমাইল ও হযরত আলীও দীর্ঘদিন ধরে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এরা দীর্ঘদিন ধরে টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির মতো অপরাধে লিপ্ত। অনেক সময় সাধারণ মানুষকে মারধর ও ভীতিপ্রদর্শন করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিত। তাদের ভয়ে সাধারণ মানুষ রাতের বেলায় নিরাপদে চলাচল করতে পারত না।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওহিদুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া তাদের পলাতক সহযোগীদেরও চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।