নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের আচারগাঁও ঝাউগড়া গ্রামে বাউন্ডারি দেওয়াল ঘেঁষে অবৈধভাবে পুকুর খননের কারণে দেয়াল ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত আতাউর রহমান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আতাউর রহমান, পিতা মৃত আবেদ আলী মুন্সী, তার বাড়ির চারপাশে বহু বছর আগে সীমানা রক্ষার জন্য বাউন্ডারি দেওয়াল নির্মাণ করেন। কিন্তু গত ২২ মে ২০২৫ তারিখে একই গ্রামের বাসিন্দা মোঃ বকুল মিয়ার তিন পুত্র—শামীম মিয়া, আলাল মিয়া ও দুলাল মিয়া—এক্সকেভেটর দিয়ে ওই দেওয়াল ঘেঁষে পুকুর খনন শুরু করে।
এতে করে বাউন্ডারি দেওয়ালের নিচের মাটি সরে গিয়ে দেওয়ালটি যেকোনো সময় পুকুরে ধ্বসে পড়তে পারে। শুধু তাই নয়, পুকুরের পাশেই থাকা কৃষক মোঃ আবুল কাশেমের বাড়িও ধ্বসের ঝুঁকিতে রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে এই খনন কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিবাদীরা। আতাউর রহমানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নান্দাইল মডেল থানার এসআই রাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুকুর খনন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও অভিযুক্তরা তা উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, বিবাদীদের একজন, বকুল মিয়ার স্ত্রী জমিলা, দেশীয় অস্ত্রসহ পুকুর খননে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ ছাড়া এলাকার সাবের উদ্দিনের পুত্র আবুল মিয়াও উসকানিমূলক ভূমিকা রাখছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের বাধা দিলে তাদেরকে গালিগালাজ ও দা দিয়ে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগও উঠেছে।
১২ জুন একদল সাংবাদিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেয়ালের ধ্বসের ঝুঁকি এবং পুকুর খননের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তিনি ২-১ দিনের মধ্যে নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।