আবুল হাশেম
রাজশাহী ব্যুরোঃ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন প্রাণ সঞ্চার হয়েছে। স্থানীয় রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ২০১৮ সালের ধানের শীষের প্রার্থী মো. নুরুজ্জামান খান মানিক।
বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃণমূল পর্যায়ে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তাঁকে বিএনপির অন্যতম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে রেখেছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় বিএনপির মনোনয়ন তালিকায়ও তাঁর নাম অগ্রাধিকারপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় তাঁর নাম গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “এবার এমন ব্যক্তিকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে, যিনি তৃণমূলের জনপ্রিয়, সাংগঠনিকভাবে দক্ষ এবং কর্মীবান্ধব। যিনি মানুষের পাশে থাকেন, দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং জনগণের আস্থার প্রতীক।”
এই মানদণ্ডে নুরুজ্জামান খান মানিককে উপযুক্ত প্রার্থী হিসেবে দেখছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাঁর সহজ-সরল ব্যবহার, সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা এবং উন্নয়নমুখী চিন্তাভাবনা তাঁকে জনগণের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে। মাঠে তাঁর সক্রিয় উপস্থিতি ও তৃণমূলের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।
বাঘা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো. রোকুনুজ্জামান খান মিঠু বলেন,
“যদি মানিক খানকে বিএনপি থেকে ধানের শীষের মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন। তিনি বাঘা-চারঘাটকে মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত করে একটি আধুনিক, ডিজিটাল উপজেলায় রূপান্তর করবেন।”
উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম নান্নু বলেন,
“তাঁর সঙ্গে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সম্পর্ক অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি দলের ঐক্য বজায় রাখতে নিরলস পরিশ্রম করছেন। মনোনয়ন পেলে বাঘা-চারঘাটের রাজনীতিতে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।”
স্থানীয় রাজনীতিতে এখন একটাই আলোচনা—বাঘা-চারঘাটে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে কে আসছেন? জনগণের প্রত্যাশা, এবার ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে মাঠে নামবেন মো. নুরুজ্জামান খান মানিক। তাঁদের বিশ্বাস, তাঁর নেতৃত্বে বিএনপির ভিত্তি আরও মজবুত হবে এবং বাঘা-চারঘাটের উন্নয়ন দৃশ্যমান রূপ নেবে।