আঃ হামিদ, মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের মধুপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা লুৎফুন্নাহার লাকী আত্মহত্যা করেছেন প্রেমের ফাঁদে পড়ে চরম হতাশায়। এ ঘটনায় সহকর্মী ও প্রতারক প্রেমিক ইবনে মাসুদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার তথ্য উঠে এসেছে নিহত লাকীর ডায়েরির পাঁচটি করুণ পাতায়।কুড়ালিয়া ইউনিয়নের কেউটাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা লাকী আক্তার গত ২৪ জুন নিজের কক্ষে কীটনাশক পান করেন। পরে তাকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ জুন তার মৃত্যু হয়।
লাকীর কক্ষ থেকে উদ্ধার হওয়া ডায়েরির পাতায় উঠে এসেছে তার বেদনার কাহিনি। ২০২৪ সালে এক প্রশিক্ষণে গোপিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইবনে মাসুদের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাসুদ বিয়ের প্রলোভনে লাকীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে এবং একপর্যায়ে লাকী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। কিন্তু মাসুদ বিবাহিত হওয়ার কথা গোপন রেখে সম্পর্ক চালিয়ে যান এবং শেষে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান। এরপরই লাকী চরম মানসিক কষ্টে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন।
লাকী লিখেছেন,
“মৃত্যু যন্ত্রণা সহ্য করে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো। আজও বিকেল পর্যন্ত বেঁচে থাকার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু তোমার অবহেলা আমাকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিলো।”লাকীর বাবা আব্দুল লতিফ ২৮ জুন মধুপুর থানায় ইবনে মাসুদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমরানুল কবীর রুবেল বলেন, “বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক ও গর্ভধারণের পর বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানানোয় শিক্ষিকা আত্মহত্যা করেন। অভিযুক্ত মাসুদকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”