মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে পৃথক ঘটনায় দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে এ দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের একজন পৌর এলাকার কিল্লাপাড়ার বাবুল মিয়া (৪৫) এবং অপরজন অজ্ঞাত (৫৫) এক বৃদ্ধ ব্যক্তি, যিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার বিকেল ৩টার দিকে নালিতাবাড়ী পৌরসভার আড়াইআনী চকপাড়া মহল্লার একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে বাবুল মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত বাবুল মিয়া উপজেলার কিল্লাপাড়া গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বাবুল মিয়া পূর্বে দুইটি বিয়ে করেন এবং কয়েক মাস আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ওই পরিত্যক্ত ঘরটি ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। আর্থিক সংকটের কারণে পরে ঘরটি ছেড়ে দিলেও মাঝে মাঝে স্ত্রীসহ সেখানে রাত যাপন করতেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় এক দোকান থেকে কয়েল কিনে ওই ঘরে যান বাবুল। পরদিন দুপুরে স্থানীয়রা ঘরের ভেতরে তার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।
নালিতাবাড়ী থানার ওসি সোহেল রানা জানান, “মরদেহের কান দিয়ে রক্ত ঝরছিল। ঘটনাটি রাতেই ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।”
একই দিন বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার দাওধারা কাটাবাড়ী এলাকার একটি পাহাড়ি জঙ্গল থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে ওই বৃদ্ধ পাহাড়ি এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। তার চেহারায় ক্লান্তি ও অসুস্থতার ছাপ ছিল।
শনিবার বিকেলে স্থানীয়রা জঙ্গলে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ওসি সোহেল রানা বলেন, “বৃদ্ধের আশেপাশে হাতির পায়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বন্য হাতির আক্রমণে তার মৃত্যু হতে পারে। তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
উভয় ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
ওসি আরও জানান, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। আমরা আইনগত ব্যবস্থার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
এদিকে একদিনে দুটি মরদেহ উদ্ধারে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে নানা গুঞ্জন ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।