হাবিবুর রহমান লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চার লাখ টাকা চাঁদা দাবি এবং অপর একজনের কাছ থেকে নেওয়া তিন লাখ টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করায় কবির হোসেন রাকিব নামের এক ভূয়া সাংবাদিকের বিরুদ্ধে একই দিনে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, রাকিব লেখাপড়া না থাকলেও বিভিন্ন সময় অনলাইন ও ভুয়া পত্রিকার পরিচয় ব্যবহার করে উপজেলায় ব্যাপক হারে চাঁদাবাজি করেছেন।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর আদালতে আবদুল মন্নান ও জামাল উদ্দিন বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। তারা উভয়ই কমলনগর উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের জাজিরা এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত রাকিব চরফলকন ইউনিয়ন রিপন মেম্বারের ওয়ার্ডের শাহাবউদ্দিনের ছেলে। মামলার পর থেকে অভিযুক্ত রাকিব ও মাইন উদ্দিনসহ কিছু স্বাক্ষীকে বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রথম মামলার এজাহার অনুযায়ী, বাদি আবদুল মন্নান চরফলকন ইউনিয়নের দেওয়ান মার্কেট এলাকার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইটভাটার শ্রমিক সরবরাহ এবং ইটের ব্যবসা করে আসছেন। অভিযোগ, অভিযুক্ত রাকিব ও তার সহযোগীরা অধিক লাভের আশায় ইটের ব্যবসা শুরু করেন এবং ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বাদীর সঙ্গে দীর্ঘ শত্রুতা শুরু হয়। সম্প্রতি দেওয়ান মার্কেটে এক শ্রমিকের বাড়িতে বসে ব্যবসার টাকা বিতরণের সময় রাকিব ও সহযোগীরা বাদীর উপর হামলা চালান। এসময় তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করা হয় এবং বাদী মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে চিকিৎসা শেষে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
অপর মামলার বাদি জামাল উদ্দিন আফগানি উল্লেখ করেন, তিনি উপজেলার হাজিরহাট বাজারে শাহনাজ হস্তশিল্পালয় নামক প্রতিষ্ঠানে ব্যবসা করেন। অভিযুক্তরা ইবনেসিনা ডেন্টাল কেয়ার নামে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পর, বাদি থেকে তিন লাখ টাকা ধার নেন। কিন্তু টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করলে দু’পক্ষের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। অভিযোগ, রাকিব ও মাইন উদ্দিন পরস্পর যোগসাজশ করে বাদি ও অন্য আটজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
দু’টি মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা চাঁদা দাবির মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করেছেন এবং বাদীদের উপর শারীরিক ও মানসিক হুমকি প্রদর্শন করেছেন। স্থানীয়রা অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে প্রশাসনের প্রতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।









