
হাবিবুর রহমান, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এর সিনিয়র সহ-সভাপতি ও লক্ষ্মীপুর–৪ (রামগতি–কমলনগর) আসনের বিএনপি জোটের সম্ভাব্য প্রার্থী তানিয়া রব বলেছেন, “শেখ হাসিনা না পালালে এই নির্বাচন হতো না। সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে এটি একটি আকস্মিক নির্বাচন, তাই এটিকে কাজে লাগাতে হবে।” তিনি আরও বলেন, অতীতের অভ্যুত্থানমুখী চিন্তা ও আচরণ থেকে বেরিয়ে এসে রাজনৈতিক পরিবেশকে নতুনভাবে দেখতে হবে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাতে কমলনগর উপজেলা সদর হাজিরহাটের তোয়াহা স্মৃতি মহিলা কলেজ মাঠে উপজেলা জাতীয় যুব পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
তানিয়া রব অঞ্চলের উন্নয়ন, সরকারি বরাদ্দের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং প্রশাসনিক বিভিন্ন অসঙ্গতি নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন—
আ স ম আবদুর রবের পর যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তারা সরকারি সুবিধা নিলেও এলাকার প্রকৃত উন্নয়ন হয়নি।
ভুলুয়া নদীর খনন, নদী বাঁধের কাজ, রাস্তা–ঘাট—কোনো ক্ষেত্রেই সন্তোষজনক অগ্রগতি নেই।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিলো কোনোরূপ অর্থ প্রদান ছাড়া—এটি আ স ম আবদুর রবের সময়ের উদাহরণ।
দুর্দশাগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ মাতৃত্বকালীন ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ, আশ্রয়ন প্রকল্প—এসব ক্ষেত্রেই অনিয়ম রয়েছে। প্রকৃত দুস্থরা সুবিধা পান না।
হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা সংকটে; দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাক্তার নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও দাবি করেন, ভুলুয়া নদীর নাব্যতা রক্ষায় প্রতি বছর বরাদ্দ থাকলেও তা সঠিকভাবে ব্যবহার হয়নি, বরং কিছু ব্যক্তির পকেটে গেছে; তবে তিনি “অপ্রত্যাশিত বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে” নাম প্রকাশ করেননি।
তানিয়া রব বলেন,
যুগপৎ আন্দোলন, জাতীয় সরকারের সিদ্ধান্ত—সবক্ষেত্রে জোট অটুট রয়েছে।
আগামীর নির্বাচনে জোটের প্রার্থী হয়ে “তারা মার্কায়” অংশ নিয়ে বিজয় অর্জনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দলের করে হলে দলের নির্দেশনা সব পক্ষকেই মানতে হবে।
মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, চাঁদাবাজিমুক্ত এলাকা গড়তে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
এ ছাড়া তিনি নদী বাঁধের ৩১ শত কোটি টাকার প্রকল্প, অতিরিক্ত ৯২৬ কোটি টাকার বরাদ্দ বাস্তবায়ন এবং ভুলুয়া নদীর পুনর্খননসহ স্থানীয় মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
শেষে তিনি নির্বাচনে জোটের প্রতীক “তারা মার্কা”র পক্ষে সমর্থন ও দোয়া কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জাতীয় যুব পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান বেলাল।
সঞ্চালনায় ছিলেন যুগ্ম-আহ্বায়ক শিব্বির দেওয়ান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—
উপজেলা জেএসডির সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল মোতালেব
যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি শামছুল আলম নিক্সন
সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম
সহ-সভাপতি আবু মুছা
ইউছুফ আলী মিঠু
এ ছাড়া যুব সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও সভায় বক্তব্য রাখেন।