
নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীর জলঢাকায় তরুণ প্রজন্মের কাছে ইতোমধ্যেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন বিএনপি পরিবারের সন্তান ও ত্যাগী যুবনেতা মোশফিকুর রহমান মিজু। তিনি জানান, নেতা নয় বরং জনগণের সেবক হিসেবেই তিনি কাজ করে যেতে চান।
মিজু বলেন, “আমার নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে আমি মনে-প্রাণে সম্মান করি। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দেখানো পথে আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়তে আজীবন কাজ করে যেতে চাই।”
শৈশব থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মিজু বর্তমানে জলঢাকা উপজেলা যুবদলের সভাপতি পদপ্রার্থী। তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে সাধারণ মানুষসহ দলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন, দুর্দিনে রাজপথে থাকা এই যুবনেতা সংগঠনকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন।
তিনি বলেন, “কি পেলাম বা পেলাম না সেটা এখন ভাববার বিষয় নয়। এখন আমাদের ঘরে ঘরে গিয়ে বিএনপির ৩১ দফা ও তারেক রহমানের আহ্বান পৌঁছে দিতে হবে। দল যখন ক্ষমতায় আসবে, তখন দুর্দিনে রাজপথে যারা লড়াই করেছে, তাদেরই সঠিক মূল্যায়ন হবে।”
মিজুর রাজনৈতিক জীবনে এখন পর্যন্ত দুর্নীতি বা স্বেচ্ছাচারিতার কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এজন্য স্থানীয়রা তাকে উপজেলা যুবদলের সভাপতি হিসেবে দেখতে চান বলে মন্তব্য করেছেন।
এ বিষয়ে সাবেক ছাত্রনেতা ও যুবদল নেতা মো. আশরাফ আলী বলেন, “মিজু দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। তিনি প্রকৃত অর্থেই জিয়া পরিবারের আদর্শের সৈনিক। তার মতো ত্যাগী যুবনেতার সঠিক মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।”
নিজের অবস্থান সম্পর্কে মিজু বলেন, “আমি সভাপতি না হয়েও জলঢাকাবাসীর পাশে থেকেছি এবং সময়-অসময়ে সহযোগিতা করেছি। যদি সভাপতি হওয়ার সুযোগ পাই, তবে একটি দুর্নীতিমুক্ত, ত্যাগী ও সংগঠিত উপজেলা যুবদল গড়ে তুলব।”
স্থানীয় রাজনীতিতে মোশফিকুর রহমান মিজু এখন নতুন প্রজন্মের কাছে একটি অনুপ্রেরণার নাম। বিএনপির দুর্দিনে রাজপথে থেকে সংগ্রাম করে যাওয়া এই যুবনেতাকে সাধারণ মানুষ উপজেলায় যুবদলের নেতৃত্বে দেখতে চায়।