
আবুল হাশেম, রাজশাহী ব্যুরো:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা অডিটোরিয়ামে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এ্যারাবিয়ান অর্গানাইজেশন আয়োজিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা “ভয়েস অফ কুরআন” অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিযোগিতা দুটি ভাগে অনুষ্ঠিত হয়—পাঁচ পারা ও দশ পারা কোরআন তেলাওয়াত।
পাঁচ পারা প্রতিযোগিতা:
১ম স্থান: নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার মোঃ সায়াদ বিন একরাম
২য় স্থান: নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার মাহফুজ আলম মেহেদী
৩য় স্থান: রাজপাড়া থানার মুন্তাসির হক
দশ পারা প্রতিযোগিতা:
১ম স্থান: চাঁপাইনবাবগঞ্জ নতুনহাট উপজেলার মারুফ হাসান
২য় স্থান: নাটোর গুরুদাসপুর উপজেলার আশরাফুল ইসলাম
৩য় স্থান: রাজশাহী মোহনপুর উপজেলার আবু বক্কর সিদ্দিক
সেরা কন্ঠ ও সেরা তাজবীদ ক্রেস্ট পুরস্কার:
নাটোর গুরুদাসপুর উপজেলার আব্দুল্লাহ্ আল ক্বাফি
নাটোর লালপুর উপজেলার ইয়ামিন আলী
পুরস্কারের অর্থমূল্য হিসেবে পাঁচপারা প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অর্জনকারী পান ৩,০০০ টাকা, ২য় স্থান ২,০০০ টাকা, ৩য় স্থান ১,০০০ টাকা। দশপারা প্রতিযোগিতায় যথাক্রমে ১ম স্থান ৫,০০০ টাকা, ২য় স্থান ৩,০০০ টাকা, ৩য় স্থান ২,০০০ টাকা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবিহা সুলতানা ডলি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার এবং এ্যারাবিয়ান অর্গানাইজেশনের সদস্যবৃন্দ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার বলেন, “পবিত্র কোরআনের আলোয় মানুষ আলোকিত হয়, জীবনকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে পারে। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কোরআন মুখস্থের পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধেও সমৃদ্ধ হচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকবে।” তিনি আরও জানান, ক্রিকেট ও ফুটবলের পাশাপাশি কোরআন প্রতিযোগিতার আয়োজনও উপজেলা প্রশাসনের পরিকল্পনায় থাকবে।
প্রতিযোগিতার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন এ্যারাবিয়ান অর্গানাইজেশনের হাফেজ মাওলানা হুমায়ুন তারেক পলাশ, মুস্তারিফ আহাম্মেদ সাকিব, হাফেজ মোঃ ইফাত সিয়াম এবং হাফেজ মোঃ আব্দুর রব।
এ দিনের আয়োজনের জন্য শতাধিক প্রতিযোগির পাশাপাশি বাঘার বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি, প্রায় তিন শতাধিক মানুষের জন্য খাবারেরও ব্যবস্থার ব্যবস্থা করা হয়।