1. live@www.newsgrambangla.com : www.fnnews24.com www.fnnews24.com : www.fnnews24.com www.fnnews24.com
  2. info@www.newsgrambangla.com : নিউজ গ্রামবাংলা :
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কমলনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ী আমিন ব্যাপারীর মৃত্যু মোহনপুরে জমি বিরোধে কৃষক পরিবারে রক্তক্ষয়ী হামলা, আতঙ্কে দিন কাটছে ভুক্তভোগীদের বাঘায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ তিনজন গ্রেপ্তার শেরপুরে বড়দিন-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজের সাফল্যের এক বছর পূর্তি পঞ্চগড়ে রায় হোমিও দোকানে অভিযান, বিপুল ভারতীয় সাপ্লিমেন্ট জব্দ ও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ফেসবুকে পরিচয়, চ্যাটিং গ্রুপে প্রেমিকার ভিডিও ছড়ালেন প্রেমিক, র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ডিমলায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত বাঘায় ২১তম বিরাট ইসলামী জালসা ও খতমে ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান অনুষ্ঠিত মধুপুরে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

তেঁতুলিয়া এডিপি প্রকল্পে অনিয়ম: ৮ হাজার টাকার টেবিল ৩৫ হাজারে, ইউএনওর বিতর্কিত মন্তব্য

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে
তেঁতুলিয়ার এডিপি প্রকল্পে অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে টেবিল-চেয়ার কেনার অভিযোগ
তেঁতুলিয়ার এডিপি প্রকল্পে অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে টেবিল-চেয়ার কেনার অভিযোগ

মনজু হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এডিপি (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) প্রকল্পে ভয়াবহ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বাজারমূল্যে ৮ হাজার টাকার টেবিল ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা, ৪ হাজার টাকার চেয়ার ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৩৫২ টাকা এবং সাড়ে ৫০০ টাকার ফুটবল কেনা হয়েছে ১ হাজার ৩৩৩ টাকায়। সরেজমিন অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী ও ফার্নিচার প্রস্তুতকারকেরা জানান, নকশা অনুযায়ী একটি টেবিল ও একটি চেয়ারের জন্য সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা খরচ হলেই যথেষ্ট। কিন্তু প্রকল্পে এর তিন থেকে চার গুণ বেশি মূল্য দেখানো হয়েছে। তাছাড়া প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ৯টি টেবিল ও ৪২টি চেয়ার, কিন্তু বাস্তবে পাওয়া গেছে মাত্র ৭টি টেবিল ও ৩০টি চেয়ার।

অভিযোগ উঠেছে, এসব ব্যয় দেখানো হয়েছে ইউএনওর আস্থা ভাজন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাসান এন্টারপ্রাইজ-এর মাধ্যমে। ১০ লাখ টাকার বরাদ্দে কাজের মধ্যে শুধু টেবিল-চেয়ার বাবদই খরচ দেখানো হয়েছে ৭ লাখ ৯১ হাজার ৭৮৪ টাকা। গ্লাস বসানোর কথা থাকলেও তা বাদ দিয়েই কাজ শেষ দেখিয়ে পূর্ণ বিল পরিশোধ করা হয়েছে।

তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজ শাহীন খসরু এ প্রসঙ্গে বলেন,
“প্রাক্কলন কোড অনুযায়ী একটি টেবিলের দাম ৬৮ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আমরা তো এত টাকা দিইনি। প্রকল্প দেওয়াটা আমার দায়িত্ব, বাস্তবায়ন করেছে প্রকৌশল অফিস।”

তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী খান অবশ্য অনিয়মের অভিযোগ নাকচ করে বলেন,
“প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন হয়েছে, অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।”

তবে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, বিগত সরকারের সময়কার হরিলুটের ধারাবাহিকতা এখনো চলমান। ইউএনওর পছন্দের এক ঠিকাদারকে দিয়ে ৪০ লাখ টাকার সংস্কার কাজ দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। এর মধ্যে টেনিস গ্রাউন্ডে ২০ লাখ, বেরং কমপ্লেক্সে ১০ লাখ, ইউএনও বাসভবন সংস্কারে ১০ লাখ এবং পিকনিক কর্নারের নামে আরও ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।

স্থানীয়দের প্রশ্ন, প্রকল্পের নামে এভাবে অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে সরকারি অর্থ লুটপাটের দায় কে নেবে?

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট