শরিফা বেগম শিউলী স্টাফ রিপোর্টার:
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদকালেই বহুল আলোচিত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন। সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, এটি শুধু একটি উন্নয়ন প্রকল্প নয়, বরং উত্তরাঞ্চলের কোটি মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্ন।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর চেম্বার ভবন অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন,
“অতীতে বিভিন্ন সরকার তিস্তা মহাপরিকল্পনার স্বপ্ন দেখিয়ে জনগণকে প্রতারণা করেছে। আমরা আর প্রতারণার শিকার হতে চাই না। এখন বাস্তবায়ন চাই।”
তিনি আরও বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা ছাড়া উত্তরাঞ্চলের দারিদ্র্য দূর হবে না, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে না, নদীভাঙনও থামবে না। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়েই কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের পক্ষ থেকে তিন দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়—
৫ অক্টোবর রংপুর বিভাগের ৫ জেলায় পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান,
৯ অক্টোবর উপজেলা পর্যায়ে গণমিছিল ও সমাবেশ,
১৬ অক্টোবর ১০ উপজেলায় একযোগে মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচি।
দুলু বলেন, “যদি এর মধ্যেও দৃশ্যমান পদক্ষেপ না আসে, তবে নভেম্বর থেকে কঠোর কর্মসূচি শুরু হবে। সেই আন্দোলন সরকারকে বাধ্য করবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নদী খনন, সেচব্যবস্থা, বাঁধ নির্মাণ ও আধুনিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করা গেলে উত্তরাঞ্চলে কৃষি বিপ্লব ঘটবে। একই সঙ্গে মৎস্যসম্পদ, পর্যটন ও ক্ষুদ্র ব্যবসায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আলহাজ্ব সালেকুজ্জামান সালেকসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনেরা।