মনজু হোসেন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ে চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। তেঁতুলিয়া উপজেলাসহ পুরো জেলায় বইছে মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার এ তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতের তাপমাত্রা কমলেও দিনের তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রিতে।
শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের শ্রমিকদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। বিশেষ করে বালু শ্রমিক ও ইজিবাইক চালকদের কাজে দেরি হচ্ছে। করতোয়া নদীর আহাম্মদনগর এলাকার বালু শ্রমিক সিরাজুল ইসলাম বলেন, “সময়সমতো নদীতে নামতে পারছি না। কনকনে ঠাণ্ডার কারণে ঘর থেকে বের হতেও দেরি হচ্ছে। পৌষ মাস আসার আগেই এমন শীত।”
পৌর এলাকার ইজিবাইক চালক সামসুল ইসলাম জানান, “আজ কুয়াশা নেই, কিন্তু ঠাণ্ডায় শরীর কাঁপছে।”
সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিললেও রোদে নেই তীব্রতা। ফলে শীত কমছে না। শ্রমজীবীদের অনেকেই রোদ থাকলেও কাজে স্বাভাবিকভাবে ফিরতে পারছেন না।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, তেঁতুলিয়া ও আশপাশের এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে এবং এটি আরও ২–৩ দিন স্থায়ী হতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে নামলেই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয় বলে জানান তিনি।
রাতের তাপমাত্রা দ্রুত কমে যাওয়ায় শীতের প্রকোপ বাড়ছে। ভোরে সূর্যের দেখা মিললেও শীত পুরোপুরি কাটছে না। প্রতিদিন বিকেলের পর হিমেল বাতাস আর হালকা কুয়াশার কারণে কনকনে ঠাণ্ডা আরও তীব্রভাবে অনুভূত হচ্ছে।









