
মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
শেরপুর: মাত্র ৫ মিনিটের বিলম্ব। আর এই সামান্য সময়ের ব্যবধানেই থমকে গেল নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার স্বপ্ন। শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে অঝোরে কেঁদেছেন এবি পার্টির প্রার্থী আব্দুল্লাহ বাদশা।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়ে এই আবেগঘন ও নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ঘটনার বিবরণ: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আজ সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। জানা গেছে, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির মনোনীত প্রার্থী আব্দুল্লাহ বাদশা বিকেল ৫টা ৮ মিনিটে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নালিতাবাড়ীর ইউএনও রেজওয়ানা আফরীনের কার্যালয়ে উপস্থিত হন। নির্ধারিত সময় ৫ মিনিট আগেই পার হয়ে যাওয়ায় ইউএনও তাঁর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান।
কার্যালয়ে আবেগঘন পরিবেশ: মনোনয়নপত্র জমা দিতে আব্দুল্লাহ বাদশা বারবার অনুরোধ জানালেও আইনের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে তা গ্রহণ করেননি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা। এক পর্যায়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিতে না পারার হতাশায় ও কষ্টে কক্ষের ভেতরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বাদশা। তাঁর এই কান্নায় উপস্থিত অন্যদের মাঝেও বিষণ্ণতা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রার্থীর ভাষ্য: আব্দুল্লাহ বাদশা জানান, যান্ত্রিক গোলযোগ বা যানজটের কারণে পৌঁছাতে মাত্র কয়েক মিনিট দেরি হয়ে গেছে। তিনি চেয়েছিলেন মানুষের সেবা করতে, কিন্তু সময়ের এই সামান্য বিচ্যুতিতে তাঁর সেই স্বপ্ন অনিশ্চিত হয়ে পড়ল।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য: সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও রেজওয়ানা আফরীন গণমাধ্যমকে জানান, নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী বিকেল ৫টার পর মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপস্থিত হতে না পারায় তাঁর আবেদন গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, শেরপুর-২ আসনে আব্দুল্লাহ বাদশার এই কান্নার দৃশ্য মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে।