অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে আলোচনা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের পদত্যাগ বিষয়টি। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল ১১টায় তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের তিন সদস্য, প্রধান উপদেষ্টার দুই কর্মকর্তা এবং কয়েকজন ছাত্রনেতা।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে নির্ধারিত এক ঘণ্টার সভা শেষে, সচিবদের বেরিয়ে যাওয়ার পর প্রায় চার ঘণ্টা অনির্ধারিত আলোচনা করেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের সঙ্গে সঠিকভাবে সহযোগিতা করছে না, যার ফলে দায়িত্ব পালন কঠিন হয়ে পড়েছে। নির্বাচনের বিষয়ে নানা চাপ এবং অবিশ্বাসের কারণে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না বলে তার মত।
ড. ইউনূস আরও উল্লেখ করেন, “নির্বাচন বিতর্কিত হলে আমার সারাজীবনের অর্জিত ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে এবং আমি সেই দায় নিতে আগ্রহী নই।” তিনি জানালেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে এবং এরপর তিনি আর দায়িত্বে থাকবেন না।
বিকেলে রাজনৈতিক অঙ্গনে ড. ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের রূপরেখা প্রকাশের দাবি জানায় এবং সতর্ক করে দেয়, অন্যথায় সরকারের প্রতি সহযোগিতা কঠিন হবে। একইদিন জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী কমিটি প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সর্বদলীয় সভা আহ্বানের আহ্বান জানায়।
সন্ধ্যায় জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন। এছাড়া উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ারও ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের খবর পাওয়া গেছে।
ড. ইউনূস বলেন, শুরুতে দলগুলো সংস্কার আগে, নির্বাচন পরে বলে আশ্বাস দিয়েছিল, কিন্তু এখন তারা নিজেই অস্থিরতা সৃষ্টি করছে এবং জনদুর্ভোগ বাড়াচ্ছে।