মোঃ মোস্তাইন বিল্লাহ, দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি:
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে ৭০০ পিস ইয়াবাসহ এক যুবককে আটক করেছে সানন্দবাড়ী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। আটককৃত ব্যক্তির নাম মো. কহুল উদ্দিন (৩০)।
সানন্দবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালবেলায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন সানন্দবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফরহাদ হোসেন। অভিযানের সময় কহুল উদ্দিনকে ডাংধরা ইউনিয়নের মাখনের চর এলাকা থেকে নাম্বারবিহীন যাত্রী বাহী সিএনজিতে অবস্থানকালে হাতেনাতে আটক করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃত কহুল উদ্দিন কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার কর্তিমারী খেয়ারচর গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে। তার কাছ থেকে মোট ৭০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান ও মাদক উদ্ধার প্রক্রিয়ার বিষয়ে বলেছে, আটককৃতের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং মামলা শেষে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
পুলিশ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালাই। মাদকদ্রব্য পরিবহন ও বিক্রির মতো অপরাধ প্রতিরোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। জনগণকে মাদকবিরোধী সংবাদের জন্য আমরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করার আহ্বান জানাই।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই ধরনের অভিযান নিয়মিত চালানো হলে মাদকদ্রব্যের প্রবাহ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। এলাকাবাসী আশা করছেন, পুলিশ মাদকবিরোধী এই কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করবে এবং যুবসমাজকে এই ধরনের জঞ্জাল থেকে রক্ষা করবে।
মামলার পর প্রক্রিয়াধীন পদক্ষেপ অনুযায়ী আদালতে প্রেরণের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া, পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে, আটককৃতের সঙ্গী বা সহযোগী থাকা বা মাদক সরবরাহের নেটওয়ার্কের কোন তথ্য থাকলে তা উন্মোচনের জন্য তদন্ত চলছে।
সানন্দবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এই অভিযান এলাকার নিরাপত্তা জোরদার এবং মাদকবিরোধী প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশেষ করে, দেওয়ানগঞ্জ ও এর আশপাশের অঞ্চলে এই ধরনের অভিযান মাদকদ্রব্যের অবৈধ লেনদেন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
পুলিশের এই পদক্ষেপের ফলে স্থানীয়দের মধ্যে নিরাপত্তা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মাদকবিরোধী প্রচেষ্টায় পুলিশ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সমন্বয় শক্তিশালী হয়েছে। তারা আশাবাদী, ভবিষ্যতে আরও কঠোর অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী দমনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।
এই ধরনের সফল অভিযান স্থানীয় সমাজে মাদকবিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধি করবে এবং যুব সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সহায়তা করবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।