মোঃ বেল্লাল হোসাইন নাঈম
স্টাফ রিপোর্টার
নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ঝড়ো বাতাস ও ঢেউয়ের তোড়ে একটি যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে গেছে। শনিবার (৩১ মে) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার করিম বাজার সংলগ্ন ডুবারচরের মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রলারটিতে ৩৯ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাব পোস্টমাস্টারসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন।
নিহতরা হলেন ভাসানচর থানার সাব পোস্টমাস্টার মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৩), তিনি ফেনীর পৌর দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং হাসিনা খাতুন (২৫), যিনি ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৬১নং ক্লাস্টারের মো. তারেকের স্ত্রী।
নিখোঁজদের মধ্যে রয়েছেন সাইফুল ইসলাম (২৮), সুধারাম থানার পুলিশ কনস্টেবল এবং রোহিঙ্গা শিশু তামিম (৩), পিতা মো. তারেক।
ঘটনার বিস্তারিত অনুযায়ী, শনিবার দুপুর ২টার দিকে ভাসানচর থেকে রওনা হওয়া ট্রলারটিতে ৪ জন পুলিশ সদস্য, রোহিঙ্গা রোগী, আনসার সদস্য ও এনজিও কর্মীসহ ৩৯ জন যাত্রী ছিল। ট্রলারটি হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। যাত্রাপথে ভাসানচর থেকে প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার দূরে গিয়ে করিমবাজার সংলগ্ন নদীতে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারের যাত্রীদের মধ্যে ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে একজন পরবর্তীতে মারা যান। রবিবার সকালে লক্ষ্মীপুরের রামগতি এলাকা থেকে এক রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এখনো এক পুলিশ সদস্য ও এক শিশুকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। নিখোঁজদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।