আশিকুর রহমান, গাজীপুর:
গাজীপুরের টঙ্গীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১ জুন) দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৫নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে নিউ অলিম্পিয়া টেক্সটাইল মিলস প্রাঙ্গণে এ আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী জহিরুল ইসলাম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আবু সাকের।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জরুল করিম রনি।
প্রধান আলোচক ছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকার।

বক্তারা শহীদ জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন ও অবদান স্মরণ করে বলেন,
“বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ছিল তাঁর যুগান্তকারী ধারণা। তিনি আমাদের জাতিগত পরিচয়ের এক নতুন মাত্রা দিয়েছেন। তাঁর স্বাধীনতার ঘোষণা এবং সাহসী নেতৃত্ব জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল।”

তারা বলেন, স্বাধীনতার পর রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা রক্ষা ও দেশ পরিচালনায় জিয়াউর রহমানের অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি গঠিত হয়, যা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বক্তব্যে আরও বলা হয়, “তিনি চার বছরের রাষ্ট্র পরিচালনায় দেশকে যে গতিতে এগিয়ে দিয়েছিলেন, তা আজও প্রাসঙ্গিক। তাঁর আদর্শ আজও আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন:

• কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি আরিফ হোসেন হাওলাদার

• মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম শুক্কুর

• টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির আহ্বায়ক প্রভাষক বশির উদ্দিন

• পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সরকার জাবেদ আহমেদ সুমন

• পশ্চিম থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান নুর

• পূর্ব থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী সালাউদ্দিন

• সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসেম ও সেলিম হোসেন

এছাড়াও মহানগর যুবদলের সভাপতি সাজেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাজু, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সিরাজুল ইসলাম সাথী, ছাত্রদল নেতা মাহমুদুল হাসান মিরন, আবু বক্কর সিদ্দিক, রাতুল ভুঁইয়া, আজিজুর রহমান টিপু, আল আমিন হোসেন, জামাল উদ্দিন, আরিফিন সিদ্দিকী বুলবুলসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে শহীদ জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয় এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে প্রার্থনা করা হয়। পরে অতিথি ও স্থানীয় মানুষের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।