নিজস্ব প্রতিনিধি:
শেরপুর পৌরসভার বটতলাস্থ বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে তিন দিন বয়সী এক কন্যা নবজাতক চুরির ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করা হয়েছে, পাশাপাশি তারা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সূত্রে জানা যায়, পৌর এলাকার চাপাতলী মহল্লার গোশত ব্যবসায়ী মো. ফিরোজ মিয়ার স্ত্রী আবেদা বেগমকে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য গত ২৬ জুন (বুধবার) ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই রাতেই অপারেশনের মাধ্যমে এক ফুটফুটে কন্যা শিশুর জন্ম হয়। নবজাতকের জন্মের পর থেকেই ফিরোজ মিয়ার মা এবং দুই আত্মীয় হাসপাতালে অবস্থান করছিলেন।
এ সময় এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলা নিজেদের একজন রোগীর স্বজন পরিচয় দিয়ে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করে এবং শুক্রবার থেকেই নানা অজুহাতে তাদের রুমে সময় কাটাতে থাকে।
২৮ জুন (শনিবার) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শিশুটির মা বাথরুমে যান এবং অন্য স্বজনরাও কক্ষের বাইরে ছিলেন। সেই সুযোগে ওই মহিলা বোরখা পরে নবজাতককে নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করে।
হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঘটনার সময় কক্ষের সামনে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরাটি নষ্ট ছিল, তবে বাইরে থাকা এক দোকানের ক্যামেরায় বোরখা পরিহিত মহিলাকে শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। বিষয়টি আরও সন্দেহজনক করে তুলেছে পরিবারটির কাছে। তারা দাবি করেছেন, এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি কিংবা যোগসাজশ থাকতে পারে।
শিশুটির বাবা মো. ফিরোজ মিয়া বলেন,
“আমার মেয়ে যদি উদ্ধার না হয়, তবে হাসপাতালের বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা নেব।”
হাসপাতালের পরিচালক দিদারুল ইসলাম দিদার বলেন,
“অতিথি মহিলা সম্পর্কে কোনো লিখিত অভিযোগ আমরা পাইনি, তবে ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ঘটনার তদন্ত চলছে।