রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
চীনের বিখ্যাত বেইহাং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘সেরা গ্রাজুয়েট অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছেন নওগাঁর রাণীনগরের কৃতি সন্তান মো. তারিকুল ইসলাম (তাজ)। অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অসাধারণ কৃতিত্ব ও গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেইজিং ক্যাম্পাসে গত সোমবার দুপুর ২:৩০টায় অনুষ্ঠিত সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তার হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ঝাও ওয়েই শেং। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপপরিচালক প্রফেসর ঝাং ঝিহুই, আন্তর্জাতিক স্কুলের উপ-ডিন প্রফেসর উ সিয়াওজুন এবং তার প্রধান গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক প্রফেসর সু ইউয়ান মিং।
বিশেষ উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, তারিকুল ইসলাম এই অ্যাওয়ার্ড অর্জনের মাধ্যমে তার সুপারভাইজার প্রফেসর সু ইউয়ান মিংকেও এনে দিয়েছেন “সেরা শিক্ষক অ্যাওয়ার্ড”। একসাথে গুরু ও শিষ্যের এই সম্মাননা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছে।
এর আগে তিনি চীনের চাংশা ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করে সেখানেও ‘সেরা গ্রাজুয়েট অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন।
তার গবেষণা ছিল বিমানের নকশা, ড্রোন প্রযুক্তি, বৈদ্যুতিক উল্লম্ব অবতরণ যান (eVTOL), এরোডাইনামিক্স এবং মেশিন লার্নিং বিষয়ে। বর্তমানে তিনি বেইজিংয়ের একটি এয়ারস্পেস কোম্পানিতে এয়ারক্রাফট অ্যারোডাইনামিক ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত।
অনুষ্ঠানে তারিকুল বলেন, “এই অর্জন আমি উৎসর্গ করছি আমার সুপারভাইজার প্রফেসর সু ইউয়ান মিং, আমার মা-বাবা, স্ত্রী, সিনিয়র ভাই ও বন্ধুদের প্রতি, যারা সবসময় পাশে থেকেছেন।”
তারিকুল ইসলাম নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বেলোবাড়ি গ্রামে ১৯৯৮ সালের ১২ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মো. বুলেট হোসেন এবং মা মোছা. সুলতানা মোফতারুন বেগম—দুজনেই শিক্ষক পেশার মানুষ।
ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী তারিকুল বৃত্তি পেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে রাণীনগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, এরপর সাভার ল্যাবরেটরি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন।
তার এই অর্জনে এলাকাবাসী, শুভাকাঙ্ক্ষীরা এবং পরিবার-পরিজন গর্বিত। সকলে তার আগামীর সাফল্য ও সমৃদ্ধির জন্য দোয়া ও শুভকামনা জানিয়েছেন।