আশিকুর রহমান, গাজীপুর:
গাজীপুরের টঙ্গীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হাসান স্বপন।

রোববার (৬ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পেশায় আইনজীবী হলেও স্বপন দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির ‘সাবেক নেতা’ পরিচয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করতেন। এমনকি মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

রাজধানীর বাড্ডা থানায় দায়ের করা একটি হত্যা চেষ্টা মামলার (মামলা নম্বর-৩৩৬) এজাহারেও তার নাম রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বপন একসময় টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস ছিলেন। বর্তমানে কোনো রাজনৈতিক পদে না থাকলেও ‘সাবেক নেতা’ পরিচয়ে এলাকায় দাপট দেখিয়ে আসছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতাসীন দলের কিছু প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলে তিনি বিভিন্ন সুবিধা আদায় করতেন।

বিশেষ করে চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে টঙ্গীতে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের পর তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মামলা বাণিজ্য এবং হুমকি-ধমকির অভিযোগ আরও বেড়ে যায়।

টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন,
“গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজির চারটি মামলা রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে সোমবার আদালতে পাঠানো হবে এবং রিমান্ডের আবেদন করা হবে।”

এ বিষয়ে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, চাঁদাবাজি সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।